অপরাজিতাবিডি ডটকম, দিনাজপুর : দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনিরুজ্জামান আল মাসউদের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল মৌসুমি ( ১২)। মৌসুমি উপজেলার দুর্গাপুর উচ্চবিদ্যাললের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। দুর্গাপুর গ্রামের মদন কর্মকারের মেয়ে সে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঠাকুর মশাই পঞ্জিকা অনুযায়ী ৪ জুলাই শুক্রবার মধ্যরাত ১২টা ১ মিনিটে বিয়ের লগ্ন ছিল । সেই কথা অনুসারে বিয়ের প্রস্তুতি শেষ। বরপক্ষও হাজির। প্রাথমিক বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ।
বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ডেভেলপ দ্য ভিলেজের (ডিভি) নির্বাহী পরিচালক মোরশেদ মানিকের আন্তরিক সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করেন। তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমিনুল ইসলামকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন। বিরামপুর থানার এসআই শামসুল আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মদন কর্মকারের বাড়িতে পৌঁছে বিয়ের কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। মৌসুমির বাবা মদন কর্মকারকে আটক করা হয়। এ অবস্থা দেখে বরপক্ষের লোকেরা বরসহ পালিয়ে যায়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনিরুজ্জামান আল মাসাউদ বাল্যবিবাহ দেবেন না বলে লিখিত মুচলেকা নেন। সেই সঙ্গে এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড করে মৌসুমির বাবাকে ছেড়ে দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মনিরুজ্জামান আল মাসাউদ এনজিও নির্বাহী কর্মকর্তা ও এলাকাবাসীকে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/ ১২ জুলাই ২০১৪ই.