নারী সংবাদ
সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। ছাত্রীদের প্রতি আপত্তিকর মন্তব্য ও নানা সময় বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানির অভিযোগে ঐ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী শিক্ষক সাইদুর রহমান ওরফে বাবুলকে শিক্ষার্থীগণ ও অভিভাবকেরা গণপিটুনি দিয়েছেন। পরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে অভিভাবকরা।
সবার অভিযোগ, ‘শিক্ষক? সাঈদুর রহমান ওরফে বাবুল প্রায়শ ছাত্রীদের বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানিমূলক প্রস্তাব দিতেন ও অশালীন মন্তব্য করতেন। বিষয়টি একাধিকবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামুন তালুকদারকে জানানো হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।
এভাবে চলতে থাকলে রবিবার সকালে এসব অভিযোগ নিয়ে ছাত্রীরা ক্লাসে গেলে প্রধান শিক্ষক উল্টো তাদের স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন। এ সময় তিনি সাঈদুর রহমানের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নিবেন না মর্মে শিক্ষার্থীদের স্পষ্ট জানিয়ে দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে গতকাল ছাত্রীরা ক্লাস বর্জন এবং ওই শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখে। একপর্যায়ে অভিভাবক ও ছাত্রীরা সাঈদুর রহমানকে কঠিন গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাসোপর্দ করে।
টাঙ্গাইল সদর মডেল থানার ওসি সায়েদুর রহমান জানান, ওই শিক্ষককে স্কুলের ছাত্রী ও অভিভাবকরা পিটুনি দেওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। পরে ওই শিক্ষককে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে টাঙ্গাইলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহরিয়ার রহমান ওই শিক্ষককে এক বছরের কারাদণ্ড দেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামুন তালুকদার তাঁর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সাঈদুর রহমান ছাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। এ জন্য ছাত্রী ও অভিভাবকরা বিক্ষুব্ধ হয়েছে।