গত বছর মোট ৪ হাজার ৬৫৪ জন নারী বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হন ৪৩১ জন। যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয় ২৩৬ জনকে। উত্ত্যক্তের শিকার হন ৪৬৫ জন। এঁদের মধ্যে আত্মহত্যা করেন ২১ জন। ফতোয়ার শিকার হয়েছেন ২৯ জন।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। দেশের ১৩টি দৈনিক জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে এসব তথ্য সংরক্ষণ করেছে সংস্থাটি।
মহিলা পরিষদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বছরটিতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে মোট ৯৩৯টি। এর মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হন ১৭৪ জন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ৯৯ জনকে। এ ছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১১৫ জনকে। বছরটিতে শ্লীলতাহানির শিকার হন ১১৬ জন। যৌন নির্যাতনের শিকার হন ৪৪ জন।
সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, বছরটিতে অ্যাসিডদগ্ধ হন ৫৫ জন। অ্যাসিডদগ্ধ হয়ে মারা যান চারজন। ৫৮ জন অগ্নিদগ্ধের মধ্যে মারা যান ৩৬ জন। অপহরণের শিকার হন ১১৮ জন। ৩০ জন নারী ও শিশু পাচারের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে যৌনপল্লিতে বিক্রি করা হয় ১৯ জনকে। বছরটিতে ৮৯৮ জন নারী ও শিশু হত্যার শিকার হয়। এ বছর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৮৬ জন গৃহপরিচারিকা। এর মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ৩৯ জনকে। বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে ৩৪১ জন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। ১৮৩ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে ৯৩ জন। পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৫৩ জন। শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে ২৫৮ জনকে।
বছরটিতে মোট ২৭৭টি সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে।
সূত্র- বাসস।