banner

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 784 বার পঠিত

 

স্বামী-স্ত্রীর মিলনের সময় দোয়া পাঠের ফজিলত

স্বামী যখন স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করার ইচ্ছা পোষণ করে, তখন তার জন্য হাদিসের শেখানো দোয়া পড়া সুন্নত। হাদিসে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্ত্রী সহবাসের সময় এ দোয়া পড়তে বলেছেন, ‘বিসমিল্লাহ্‌। আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শায়তান ও  জান্নিবিশ শায়তানা মা রাযাকতানা। অর্থাৎ আল্লাহর নামে শুরু করছি। হে আল্লাহ, আমাদের শয়তান থেকে বাঁচান এবং আমাদের যদি কোনো সন্তান দান করেন, তাকেও শয়তান থেকে বাঁচান।’ (বুখারি ও মুসলিম)

দোয়া পড়ার ফজিলত
>> হজরত ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যদি তোমাদের কেউ স্ত্রী সহবাসের সময় ‘বিসমিল্লাহ্‌। আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শায়তান ও  জান্নিবিশ শায়তানা মা রাযাকতানা’ বলে এবং তাদের ভাগ্যে সন্তান নির্ধারণ করা হয়, তবে শয়তান কখনো তার ক্ষতি করবে না।’
>> বুখারির বর্ণনায় রয়েছে, ‘শয়তান তার ক্ষতি করবে না, এবং তার উপর শয়তানকে প্রভাব বিস্তার করতে দেয়া হবে না।

এ বর্ণনার ব্যাখ্যায় কয়েকটি মতামত পাওয়া যায়-

>> কেউ বলেছেন,‘ যে ব্যক্তি স্ত্রী সহবাসের দোয়া  পড়বে, ওই মিলনে সন্তান হলে সে সন্তানটি নেককারদের অন্তর্ভুক্ত হবে, যার উপর শয়তানের কর্তৃত্ব থাকবে না।

>> অনেকে বলেছেন, স্ত্রী সহবাসের সময় দোয়া পড়লে এবং ওই মিলনে সন্তান হলে শয়তান তাকে (সে সন্তানকে) পরাস্ত করতে পারবে না, অথবা শয়তান তাকে কুফরির মাধ্যমে গোমরাহ করতে পারবে না, অথবা তার জন্মের সময় পিতার সঙ্গী হতে পারবে না যখন সে তার মায়ের সাথে সহবাস করে।

>> এ প্রসঙ্গে কাজি ইয়াজ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, শয়তান তাকে পরাস্ত করতে পারবে না। কেউ বলেছেন : জন্মের সময়, অন্যান্য সন্তানের বিপরীতে,  শয়তান তাকে খোঁচা দেবে না। তিনি বলেন : তবে সকল ক্ষতি, শয়তানি ওয়াসওয়াসা ও পথভ্রষ্টতা থেকে সে সুরক্ষা পাবে এ অর্থ কেউ করেন নি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে স্ত্রী সহবাসের দোয়া পড়ে তার ফজিলত লাভের তাওফিক দান করুন। সৎ ও নেক সন্তান দান করুন। আমিন।

Facebook Comments