স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে গণধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ, আটক ২
নারী সংবাদ
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে তাকে গণধর্ষণের সহযোগিতা করেছেন বলে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন স্ত্রী। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
রোববার রাতে ওই গৃহবধূ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় স্বামীসহ দুই অভিযুক্তকে আটকের পর আজ সোমবার দুপুরে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে স্বামী রতন মিয়ার সাথে ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসের পেছনে বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ খুঁজতে যান ওই গৃহবধূ। কোনো বাসায় কাজ না পেয়ে স্বামীর সাথে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে জাটিয়া ইউনিয়নের শিমুলতলী গিয়ে বাড়ি না ফিরে শিবপুর গ্রামের দরগায় গৃহবধূকে নিয়ে গান শুনতে যান রতন। গান শুনে রাত ১১টার দিকে হেঁটে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা রওয়ানা হন। দ্রত বাড়িতে যাওয়া যাবে- এ কথা বলে রাস্তা দিয়ে না গিয়ে ক্ষেতের মাঝখান দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর পর জাটিয়া ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের বাবু মিয়ার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে যান রতন। সেখানে গিয়ে স্ত্রীকে মারধর করে অপেক্ষমাণ লম্পটদের হাতে তুলে দেন তিনি। সেখানে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষিত হন ওই গৃহবধূ।
রোববার ভোরে সেখান থেকে পালিয়ে এসে গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূ থানায় হাজির হন। পরে পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে। আটক করা হয় প্রধান অভিযুক্ত স্বামী রতনসহ সরিষা ইউনিয়নের লংগাইল গ্রামের আবদুস সোবহানের ছেলে নজরুল ইসলামকেও।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদীন বলেন, স্ত্রীকে ধর্ষকদের হাতে তুলে দেন স্বামী। গণধর্ষণের ঘটনার এমন খবর পেয়ে তার স্বামীসহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।
সুত্রঃ নয়াদিগন্ত