banner

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 349 বার পঠিত

 

স্ত্রীর স্বীকৃতি না দেয়ায় ‘স্বামী’র বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

স্ত্রীর স্বীকৃতি না দেয়ায় ‘স্বামী’র বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা


নারী সংবাদ


জয়পুরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী একেএম নজমুল হাসানের নামে আদালতে ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার কাহালু উপজেলার পাল্লাপাড়া গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা এক মহিলা বাদী হয়ে বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলাটি দায়ের করেন ।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া সদরের সুত্রাপুর এলাকার রিয়াজকাজী লেনের মৃত নজিব উদ্দিন আহম্মেদের পুত্র জয়পুরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী এ কে এম নজমুল হাসান (৬০) ওরফে জামান ইঞ্জিনিয়ারের সাথে কাহালু উপজেলার পাল্লাপাড়া গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা দুই সন্তানের জননীর পরিচয় হয়। সেই সুবাদে প্রেম থেকে ২ নভেম্বর ২০১১ নজমুল হাসানের ভাড়া বাড়ি বগুড়া সদরের কালিতলায় জনৈক কাজীর মাধ্যমে ইজাব কবুলে বিবাহ হয়।

তারপর থেকে নজমুল হাসান ও সেই নারী স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া নিয়ে ঘর সংসার করে। সংসারকালীন সময়ে প্রায়ই ওই মহিলা নজমুল হাসানকে রেজিস্ট্রি কাবিননামা করতে চাপ প্রয়োগ করতো। কিন্তু নজমুল হাসান বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কৌশলে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে।

গত ফেব্রয়ারি মাসের ১২ তারিখে শাজাহানপুর উপজেলার লতিফপুর মধ্যপাড়ার মোজাম্মেল হকের স্ত্রী রাবেয়া সুলতানা রানীর বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাসকালে লিপি রেজিস্ট্রি কাবিননামা করার জন্য নজমুল হাসানকে ফের চাপ প্রয়োগ করে। এতে নজমুল হাসান ক্ষিপ্ত হয়ে ওই নারীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে রাতে একাধিকবার দৈহিক মেলামেশা করে। ঘটনাস্থল থেকে চলে যাবার পর নজমুল হাসান ওই মহিলার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

মহিলা ভরণ পোষণ না পেয়ে নিরুপায় হয়ে আগস্ট মাসের ২ তারিখে নজমুল হাসানের বাড়িতে গিয়ে তার সাথে দেখা করে। তখন নজমুল হাসান সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে লিপিকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ভয় দেখিয়ে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে তাড়িয়ে দেয়। উপায়ান্তর না পেয়ে বিচার ও স্ত্রীর মর্যাদার দাবি নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করতে গেলে মামলা না নেওয়ায় তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ বুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বগুড়াকে তদন্তের আদেশ দেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নজমুল হাসানের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি ওই স্বামী পরিত্যাক্তা মহিলার সাথে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে বলেন, ব্ল্যাক মেইলের চেষ্টা করে মহিলাটি মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার পায়তারা করছে।

তবে বাদী বলেছেন, আমি ইমামের মাধ্যমে বিয়ের পর দীর্ঘদিন এক সাথে ঘর সংসার করেছি। এ সময়ে উনি (স্বামী) সংসারের আসবাপত্রসহ সবকিছু কিনে দিয়েছেন এবং পুরো খরচ দিয়েছেন। কিন্তু কাবিনের জন্য চাপ দেয়ার কারণে তিনি আর খরচ দেন না। স্বামী ও স্ত্রী হিসেবে ঘরসংসারের অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে যা আইনজীবীকে দিয়েছি।

সুত্রঃ নয়াদিগন্ত।

Facebook Comments