banner

মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 289 বার পঠিত

 

সিরাজদিখানে ৭০ হাজার টাকায় নবজাতক বিক্রি, সন্তান ফেরত চাচ্ছেন মা

সিরাজদিখানে ৭০ হাজার টাকায় নবজাতক বিক্রি, সন্তান ফেরত চাচ্ছেন মা


নারী সংবাদ


সিরাজদীখান উপজেলার নিমতলা এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে নবজাতক বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি ওই এলাকার আইডিয়াল জেনারেল হাসপাতালে ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে এক নবজাতক বিক্রি করার খবর পাওয়া যায়। এছাড়া অপর আরেকটি নবজাতক বিক্রি করতে ব্যর্থ হয়।

আইডিয়াল জেনারেল হাসপাতালে প্রায় ১৫ দিন আগে হাবিবা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূ সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করার পর ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়া হয়। বেসরকারি ওই হাসপাতালের ম্যানেজার ইয়াসমিন আক্তার নীলা নবজাতকের মা হাবিবা বেগমকে টাকার প্রলোভনে ফেলে জনৈক এক ব্যক্তির কাছে নবজাতক বিক্রি করে। মা হাবিবা বেগম এখন তার সন্তান ফেরত চাইছেন।

তিনি অভিযোগ করেন-তার সন্তান বিক্রি করে দেয়ার পর তিনি কোন টাকা পাননি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার কাছ শুধু মাত্র সিজার করার বিল নেয়নি। গৃহবধূ হাবিবা উপজেলার কাজীশাল গ্রামের বাবু মিয়ার স্ত্রী। হাসপাতালের ম্যানেজার ইয়াসমিন আক্তার নীলা বলেন,‘এর সাথে আমি জড়িত না, স্ট্যাম্প করে তারা নিজেরাই বিক্রি করেছে ।’

এদিকে, ঈদের দিন একই হাসপাতালে উপজেলার বাসাইল গ্রামের লিটন শেখের স্ত্রী কুলসুম বেগম এক সন্তান প্রসব করে। এর আগেই তার নবজাতক বিক্রির জন্য প্রলোভন দেখায় নিমতলা এলাকার হলি কেয়ার হাসপাতাল অ্যান্ড ডি ল্যাব নামে আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালের একজন নার্স। কুলসুম বেগম আলট্রসনোগ্রাম করতে গেলে নবজাতক প্রসবের সাথে সাথে তা অবগত করার জন্য ওই নার্স হলি কেয়ার হাসপাতাল এন্ড ডি ল্যাব এর নাম্বার দিয়ে দেন। জন্মের দুই দিন পর নবজাতক বিক্রির জন্য বাবা লিটন শেখ হলি কেয়ারের ওই নাম্বারে কল করলে কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে। কিন্তু ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে কেউ আর নবজাতক কেনার জন্য আসেনি। এতে নবজাতক বিক্রির হাত থেকে বেঁচে যান মা কুলসুম বেগম।

নবজাতক বিক্রি প্রসঙ্গে আইডিয়াল জেনারেল হাসপাতালের মালিক মো. সালাহউদ্দিন জানান, ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে স্ট্যাম্প করে নবজাতক বিক্রি করার খবর শুনেছি। এর উপযুক্ত বিচার হওয়া উচিত।

অপর বেসরকারি হাসপাতাল হলি কেয়ার হাসপাতাল অ্যান্ড ডি ল্যাবের মালিক শহীদুল মোড়ল বলেন- ‘আমার হাসপাতালের কোন কর্মকর্তা নবজাতক বিক্রির জন্য মোবাইল নাম্বার দিয়ে থাকলে তার উপযুক্ত বিচার করা হবে।’

মুন্সীগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা: শেখ ফজলে রাব্বী বলেন, এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করলে সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Facebook Comments