banner

শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 202 বার পঠিত

 

সরকার কর্তৃক দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা : কী বলে ইসলাম

অনেক সময় কোনো পণ্যের মূল্য দিনকে দিন বাড়তেই থাকে। সেসময় সরকারের পক্ষ থেকে মূল্যের একটি সীমারেখা নির্দিষ্ট করে তার অতিরিক্ত মূল্য আদায় করার উপর বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়। একে আরবীতে তাসয়ীর এবং বাংলায় মূল্য নিয়ন্ত্রণ বলা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে এধরনের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে জায়েয কিনা?

অনেক সময় কোনো পণ্যের মূল্য দিনকে দিন বাড়তেই থাকে। সেসময় সরকারের পক্ষ থেকে মূল্যের একটি সীমারেখা নির্দিষ্ট করে তার অতিরিক্ত মূল্য আদায় করার উপর বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়। একে আরবীতে তাসয়ীর এবং বাংলায় মূল্য নিয়ন্ত্রণ বলা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে এধরনের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে জায়েয কিনা?

শরীয়তের মূল বিধান হচ্ছে, যে কোনো পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যাপারটি ক্রেতা ও বিক্রেতার অভিপ্রায়ের উপর ছেড়ে দেয়া হবে। বেশি দাম হোক বা কম দাম হোক, তাদের ইচ্ছাই চূড়ান্ত। কিছু কিছু পণ্যের কোয়ালিটি তথা গুণগত মানের তারতম্যের কারণেও মূল্যের মধ্যে তারতম্য ঘটে। এজন্য শরীয়ত রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে মূল্য নিয়ন্ত্রণের পক্ষে নয়।

কিন্তু কিছু কিছু অবস্থায় বণিকশ্রেণী নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যে সীমাতিরিক্ত বৃদ্ধি করে জনগণকে কষ্টে ফেলেন। বরং এখনতো মুনাফাখোরের লোভ পরিস্থিতিকে এতটাই জঘন্য করে ফেলছে যে, রীতিমত জনগণকে লুণ্ঠন করার চক্রান্ত চলছে। হঠাৎ কিছু পণ্যের মূল্য আকাশচুম্বী হয়ে যাচ্ছে। অগ্নিমূল্যের এ বাজারে একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে যৎসামান্য বেতন দিয়ে মাস কাটানো মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। এধরনের পরিস্থিতির কারণে শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে সরকারের জন্য এ অনুমতি রয়েছে যে, অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ, সমাজ-বিজ্ঞান বিশ্লেষক ও দ্বীনদার বোধসম্পন্ন ব্যবসায়ীদের সাথে পরামর্শ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নির্ধারণ করে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করার উপর কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করবে; যাতে করে জনগণকে কষ্ট থেকে উদ্ধার করা যায়।
তথ্যসূত্র : আবু দাউদ : ২/২৪৪, তিরমিযী : ২/৫৩, হিদায়াহ, কিতাবুল বুয়ূ

মাওলানা আবদুল্লাহ আল ফারুক
লেখক : আলেম, লেখক ও বহু গ্রন্থ অনুবাদক

Facebook Comments