banner

শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 160 বার পঠিত

সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে বিয়ের অভিযোগ!

vivah-ballo

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মুসলিম ব্লক গ্রামে স্কুলছাত্রীকে (১২) ধরে নিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ছাত্রীর বাবা মামলা করার পর বর-কনেকে পুলিশ উদ্ধার করে আদালতে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৪ অক্টোবর ওই ছাত্রী মুসলিম ব্লক গ্রামে প্রাইভেট পড়তে যায়। এ সময় রাস্তায় কয়েকজন যুবক তার গতিরোধ করে। পরে তুলাবান উচ্চবিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক নেয়ামত উল্লাহর বাড়িতে ওই ছাত্রীকে তুলে নেওয়া হয়। সেখানে ছাত্রীকে কাচালং দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্র মো. আলী হোসেনের সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। ওই ছাত্রী কিছু বুঝে ওঠার আগেই তুলাবান উচ্চবিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক নেয়ামত উল্লাহ কাজি হয়ে বিয়ে পড়ান। এ সময় ছেলের চাচা আবদুল গফুরকে কনের বাবা ও দাদা মো. মমতাজ আলীকে বরের বাবা সাজানো হয়।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ছাত্রীর বাবা নারী নির্যাতন আইনে থানায় মামলা করেন। এতে তুলাবান উচ্চবিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক নেয়ামত উল্লাহ, ছেলের চাচা মো. আবদুল গফুর, দাদা মো. মমতাজ আলী ও বর মো. আলী হোসেনকে আসামি করা হয়। মামলার পর রাত সাড়ে নয়টার দিকে অভিযান চালিয়ে পুলিশ মো. আলী হোসেন ও ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। গতকাল শনিবার সকালে দুজনকে রাঙামাটি আদালতে পাঠানো হয়। অন্য তিন আসামিকে পুলিশ আটক করতে পারেনি।
তুলাবান উচ্চবিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক নেয়ামত উল্লাহ (কাজি) বলেন, ‘আমার কাছে কে কোন ক্লাসে পড়ে জানার বিষয় নয়, তারা আমার কাছে জন্ম নিবন্ধনে ছেলের বয়স ২১ ও মেয়ে বসয় ১৮ দেখানোর পর বিয়ে পড়িয়ে দিই। আমি আদালতেও এটা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করতে পারব।’
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা ছেলে ও মেয়েকে উদ্ধার করি। আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর আবেদন করা হয়েছে।’

-সূত্রঃ প্রথম আলো।

Facebook Comments