banner

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 1288 বার পঠিত

 

সন্তান লালন পালনের চারটি স্টাইল


প্যারেন্টিং


‘প্যারেন্টিং’ বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। প্যারেন্টিং এর ক্ষেত্রে মা-বাবা সন্তানের সাথে কত বেশি সময় পার করছেন তার চেয়ে কিভাবে সময় কাটাচ্ছেন সেটা অনেক দরকারি। মা-বাবা তাদের সন্তানের লালন-পালনের সময় প্রয়োগ করেন অজান্তে নানান প্যাটার্ন বা স্টাইল। আজকে আমরা প্রধান চারটি স্টাইল নিয়ে জানবো।

প্যারেন্টিং স্টাইল

মা-বাবা’র প্যারেন্টিং স্টাইল সন্তানের ব্যক্তিত্ব গঠনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে। প্যারেন্টিং স্টাইল এর সাথে পড়াশুনা, ব্যক্তিক, সম্পর্ক, সামাজিকতা বিকাশের অনেক ভূমিকা তা জানার চেষ্টা করব আমরা। চলুন আগে আমরা প্যারেন্টিং স্টাইলের ধরণ গুলো সম্পর্কে একটু জেনে নেইঃ

ডিয়ানা বাউমিন্ড দেওয়া চারটি প্যারেন্টিং স্টাইল নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করেন।

স্বৈরাচারী স্টাইল

মা-বাবার কাছে সন্তানদের মতামতের গুরুত্ব কম। সন্তানের কাছে বড় কিছু আশা করলেও তাদের প্রতি কম সহানুভূতি প্রকাশ করেন। তারা সন্তানের কাছ থেকে বিনা শর্তে আনুগত্য পেতে পছন্দ করেন। ছেলে-মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি প্রদান করেন। তাদের কিছু শক্ত নিয়ম কানুন থাকে এবং তাদের মতের সাথে দ্বিমত হওয়া তারা মোটেও পছন্দ করেন না।

গণতান্ত্রিক স্টাইল
প্যারেন্টিং স্টাইল যা যুক্তিপূর্ণ, পরিমিত নিয়ম ও নির্দেশনা ঠিক করে দেয়। যেখানে সন্তানের চিন্তা-ভাবনা, আচরণকে গুরুত্ব সহকারে বোঝার চেষ্টা করা হয়। এখানে সন্তানের জন্য নিয়ম-কানুনগুলো পরিষ্কার করে দেখানো হয়। সর্বোত্তম, স্টাইল এসময় মা-বাবা সন্তানেরা গ্রহণযোগ্যভাবে আচরণ করতে শেখে।
মা-বাবা সন্তানের কাছে বিভিন্ন প্রত্যাশা করেন আবার সন্তানের প্রতিও সহানুভূতিশীল। সন্তানের দায়িত্ব কি হবে, কিভাবে সমাজে চলাফেরা করবে তা তাদেরকে জানিয়ে দেন এ পরিষ্কার ভাবে সব মা-বাবা।

প্রশ্রয়কারী স্টাইল:
মা-বাবাকে প্রশ্রয়দানকারী মা-বাবা বলা হয়। তারা সন্তানের প্রতি অতি সহানুভূতিশীল হন এবং তার কাছে চাওয়া পাওয়া কম থাকে। এসব মা-বাবা নরম প্রকৃতির অর্থাৎ গতানুগতিক মা-বাবা থেকে আলাদা, এরা সন্তানের উপর কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করেন না। তারা সন্তানকে যে নির্দেশনা দেন সেগুলো প্রায় অসামজ্ঞস্যপূর্ণ হয়ে থাকে।

উদাসীন স্টাইল:
মা-বাবা সন্তানের প্রতি কম সহানুভূতিশীল এবং তাদের উপর প্রত্যাশাও কম তাকে। সন্তানের উপর কোন আবেগীয় বন্ধন থাকে না বরং ছেলে-মেয়ে অবজ্ঞা, অবহেলার মধ্যে মানুষ হতে থাকে। সন্তানকে শুধু খাদ্য,বস্ত্র, আশ্রয় দেওয়াই তাদের দায়িত্ব বলে মনে করেন বলে তাদের উপর আগ্রহও কম থাকে। এসব মা-বাবার সন্তান প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নিগ্রহের শিকার হয়।

আপনি আপনার সন্তানের সাথে একটা বিকেল কাটিয়েছেন কিন্তু আপনি নিজের কাজ করলেও সন্তানের দিকে খেয়াল করছেন না।

প্রতিদিন গড়ে সন্তানের সাথে ৩০ মিনিট সময় কাটানো দরকার মা-বাবার। আর ঐ সময়টা শুধুমাত্র সন্তানের জন্য বরাদ্দ থাকা উচিত। বাবা আলাদাভাবে ৩০মিনিট এবং মা আলাদা ভাবে ৩০ মিনিট কাটাবেন।

Facebook Comments