banner

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 798 বার পঠিত

 

সখের সাইকেল

ডা.সাকলায়েন রাসেল


একটা মেডিকেলে চান্স পেলেই হলো
–আব্বা-আম্মার চাওয়াটা ঠিক এতোটুকুই ছিল। সে জায়গায় যখন চান্স পেলাম ‘ঢাকা মেডিকেল কলেজে’ তখন তাদের সে কি আনন্দ !

দু’জনে আমাকে কাছে বসিয়ে বলল, তোমার ফলাফলে আমরা আনন্দিত, গর্বিত। এর বিনিময়ে তুমি কি চাও বলো?

‘একটা’ সাইকেল কিনে দাও!!!

আমার এই সামান্য চাওয়ায় বাবা-মা দু’জন বিস্মিত হলেও খুব দ্রুত একটা সাইকেল কিনে দিলেন। বংশাল থেকে, দাম ৩২০০ টাকা।

ফার্স্ট ইয়ার থেকে থার্ড ইয়ার। সব বিনোদন যেন আমার সাইকেলকে ঘিরেই। সাইকেল চালিয়ে বাসা থেকে সোজা ফজলে রাব্বি হল। এরপর সিড়ির গোঁড়ায় গিয়ে সাইকেল ঘাড়ে নিয়ে এক দৌড়ে তিন তলা। সেখান থেকে আবার সাইকেল চালিয়ে আমার রুমে প্রবেশ।

মন খারাপ লাগলে সাইকেল চালাতাম। বিকাল হলে সাইকেল চালাতাম। জ্বর এলেও সাইকেল। এবারের ১৬ ডিসেম্বর, ফার্মগেট থেকে কারওয়ান বাজার। সকাল ৮ টা ৩০ মিনিট, শত শত সাইকেল।

রঙ বেরঙের সাইকেল… কত ছেলে মেয়ে একসাথে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে ! মনটা ফিরে গেল মেডিকেল কলেজের সেই ফার্স্ট ইয়ারে!

ইদানিং সাইকেলের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। মন চায় আবারও এর হ্যান্ডেল ধরি। পকেটে যা আছে তা দিয়ে ভাল একটা সাইকেলও কেনা যাবে। কিন্তু তা কি আর হবে? বয়স বাড়ছে…। মানুষ থেকে আবার ইতোমধ্যে ডাক্তারে পরিনত হয়েছি!!! পাছে লোকে যদি কিছু বলে? এই ‘পাছের লোকটাকে’ কেন যে এতো ভয়!!!!

সহকারী অধ্যাপক, ভাসকুলার সার্জারী
ইব্রাহিম কার্ডিয়াক, বারডেম।

Facebook Comments