banner

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 532 বার পঠিত

 

শেষ হলো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৩ প্রদান

চলচ্চিত্রকে সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুস্থ ও সৃজনশীল ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য দেশের নির্মাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও সামাজিক সমস্যাগুলো তুলে ধরে নির্মিত চলচ্চিত্রকে অবশ্যই সৃজনশীল ও শোভন হতে হবে।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৩ প্রদান উপলক্ষে গতকাল শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। খবর বাসসের।
শেখ হাসিনা বলেন, চলচ্চিত্র একটি সৃজনশীল ও শক্তিশালী গণমাধ্যম। জনসাধারণের ওপর যার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। শিক্ষার প্রসার, মেধার চর্চা, সামাজিক কুসংস্কার দূর করা, জাতি গঠন এবং প্রগতিশীল সমাজ বিনির্মাণেও চলচ্চিত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ ও শক্তিশালী হাতিয়ার।
চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সৃজনশীল ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ আপনাদের অনুসরণ করে। সুতরাং সমাজের অন্য মানুষের চেয়ে আপনাদের দায়বদ্ধতা অনেক বেশি।
সম্প্রতি বেশ কিছু চলচ্চিত্র দেশে ও বিদেশে সাফল্য অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী এর প্রশংসা করে বলেন, ‘আমাদের অভিনেতা-অভিনেত্রী ও কলাকুশলীদের কর্মদক্ষতা ও পেশাদারি ধীরে ধীরে উন্নত হচ্ছে। সার্বিকভাবে এটা বলা যায় যে আমাদের চলচ্চিত্র এগিয়ে যাচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সভাপতিত্ব করেন এবং তথ্য মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত¯সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতউল্লাহ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তথ্যসচিব মর্তুজা আহমেদ অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন।
অনুষ্ঠানে ২৫টি বিভাগে মোট ২৮ জন অভিনেতা, অভিনেত্রী, শিল্পী, প্রযোজক, পরিচালক ও কলাকুশলীকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৩ দেওয়া হয়। আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয় বিশিষ্ট অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরীকে। পুরস্কারপ্রাপ্তদের পক্ষে তিনি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
গাজী রাকায়েত ও ফরিদুর রেজা সাগর প্রযোজিত মৃত্তিকা মায়া শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার লাভ করে। প্রামাণ্যচিত্রে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার লাভ করে সারাহ আফরিনের শুনতে কি পাও। মৃত্তিকা মায়া চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন তিতাস জিয়া। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন যৌথভাবে দুজন, মৃত্তিকা মায়ায় অভিনয়ের জন্য মৌসুমী এবং দেবদাস-এ অভিনয়ের জন্য শরমি মালা।
পুরস্কারপ্রাপ্ত অন্য ব্যক্তিরা হলেন শ্রেষ্ঠ পরিচালক গাজী রাকায়েত, শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ, শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী অপর্ণা, শ্রেষ্ঠ খলনায়ক মামুনুর রশিদ, শ্রেষ্ঠ শিশু অভিনেতা স্বচ্ছ, শ্রেষ্ঠ শিশু অভিনেত্রী সৈয়দা অহিদা সাবরিনা, শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক এ কে আজাদ, শ্রেষ্ঠ সংগীতশিল্পী (পুরুষ) চন্দন সিনহা, শ্রেষ্ঠ সংগীতশিল্পী (নারী) রুনা লায়লা ও সাবিনা ইয়াসমীন, শ্রেষ্ঠ গীতিকার কবির বকুল, শ্রেষ্ঠ সুরকার কৌশিক হোসেন তাপস, শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার, শ্রেষ্ঠ সংলাপ, শ্রেষ্ঠ নাট্যরচনা গাজী রাকায়েত, শ্রেষ্ঠ সম্পাদনা শরীফুল ইসলাম রাসেল, শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক উত্তম গুহ, শ্রেষ্ঠ ফটোগ্রাফার সাইফুল ইসলাম বাদল, শ্রেষ্ঠ শব্দ প্রকৌশলী কাজী সেলিম, শ্রেষ্ঠ কস্টিউম অ্যান্ড ডেকোরেশন ডিজাইনার ওহিদা মল্লিক এবং শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান আলী বাদল।
প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার বিজয়ীদের সঙ্গে ছবি তোলেন। পুরস্কার বিতরণ শেষে দেশের বিশিষ্ট শিল্পীদের অংশগ্রহণে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

Facebook Comments