হিম শীতল বাতাসের কাঁপন জানান দিচ্ছে শীতের উপস্থিতি। শীতের বেশি কাতর হয়ে পড়েন বয়স্ক এবং শিশুরা। শীতের সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম পানি। পানি এতটাই ঠান্ডা থাকে যে এর থেকে যত দূরে থাকা যায় ততই যেন নিজেকে বাঁচানো যায়। তাছাড়া যাদের এ্যাজমা কিংবা ঠান্ডাজনিত সমস্যা আছে তাদের জন্য শীতের সময়টা কাটে কষ্টে।
যাদের বাতের ব্যথাজনিত সমস্যা আছে তাদের দেখা যায় দিনের প্রায় অর্থেক সময়টা পার করতে হয় লেপের ভেতর নয়তো কম্বল জড়িয়ে। তাদের এই সমস্যা থেকে রক্ষা করতে পারে রুম হিটার। এটি ঘরকে চারিদিক থেকে ধীরে ধীরে গরম করে ফেলে। আর এর উষ্ণতা থাকে লম্বা একটা সময়জুড়ে। রুম হিটার বহনে সহজ তাই দেখা যায় ঘরের একটি কোনায় থেকেই এটি সারা ঘরকে নিমিষেই গরম করে ফেলছে।
পানি ছাড়া আমাদের দৈনন্দিন জীবন কল্পনার বাইরে। আর এই শীতের সময় আপনার কাজকে কিছুটা সহজ করতে পারে গিজার। শীতের প্রকোপ কমাতে গিজারের বিকল্প নেই। টয়লেটের ফলস ছাদে গিজার বসানো হয়ে থাকে। গোসল কিংবা যাদের ঠান্ডা পানিতে সমস্যা তারা পানি ব্যবহারের আগে ১০ মিনিট গিজার চালিয়ে রাখুন। গিজার চালু করার পর পানি প্রয়োজন মতো গরম হলে গিজার আপনা আপনি বন্ধ হয়ে যাবে।
শীতের সময়ের আরেকটি সঙ্গী হচ্ছে ইলেকট্রিক কেটলি। এই ইলেকট্রিক কেটলির পানি ধারণক্ষমতা থেকে চার থেকে দশ লিটার পর্যন্ত। আর এই ইলেকট্রিক কেটলির জন্য আলাদা বৈদুত্যিক লাইন ব্যবহার করা ভালো।
দরদাম
লোকাল গিজার ৪৫ লিটির ৩ হাজার ৫০০ টাকা, ৬৫ লিটার ৩ হাজার ৮০০ টাকা, ৯০ লিটার ৫ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।, কোরিয়ান হুন্দাই ৯ হাজার টাকা, সেনবো তুর্কি ১২ হাজার টাকায় কিনতে পারবেন। এছাড়া বিভিন্ন মডেলের হিটারের মধ্যে হিটাচির হিটার পাবেন দুই হাজার থেকে চার হাজার টাকার মধ্যে। নোভা দুই হাজার ৫০০ থেকে তিন হাজার ৫০০ টাকায়। এ ছাড়া মিয়াকো এবং নোভিনার হিটার ১৫০০ থেকে চার হাজার ৫০০ টাকার মধ্যেই পাবেন। সঙ্গে এক বছরের ওয়ারেন্টি। ইলেকট্রিক কেটলির দাম পরবে ৯০০ থেকে ২০০০ এর মধ্যে।
কোথায় পাবেন
শীতে ব্যবহার করা এসব যন্ত্রপাতি পাওয়া যাচ্ছে ঢাকা শহরের বসুন্ধরা সিটি শপিং মল (লেভেল-১), মিরপুর ১০, এলিফ্যান্ট রোডের স্যানিটারি কিংবা টাইলসের শোরুমগুলোতে, মৌচাক মার্কেট, নিউমার্কেট, বিভিন্ন ইলেকট্রনিকসের ব্র্যান্ডের শোরুমগুলোতে।