শীতকাল মানে নানান রকম মজাদার পিঠা বানানো ঘরে ঘরে। এ সময়ে ব্যস্ত সবাই রাস্তার ধারেই কিনে খেতে অভ্যস্ত তবুও আসুন দেখি দুটি পরিচিত পিঠা দুধ চিতই এবং ভাঁপা পিঠা বানানো নিয়ম।
ভাঁপা
ভাঁপা পিঠা বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী পিঠা যা প্রধানত শীত মৌসুমে প্রস্তুত ও খাওয়া হয়। এটি প্রধানতঃ চালের গুঁড়া দিয়ে জলীয় বাষ্পের আঁচে তৈরী করা হয়।
লাগবে যা যা
- চালের গুড়া,
- লবন,
- পানি,
- দুধ,
- দানা খেজুরের গুড় এবং
- নাড়িকেল কুড়ানো
কিভাবে বানাবেন
প্রথমে তরল খেজুর গুড় চালের গুড়ার মিশিয়ে নিন এতে রং ভাপা পিঠার সুন্দর এবং মজাদার হবে লবন+পানি মিশিয়ে ডাই তৈরী করা। অর্থাৎ একদম শুষ্ক চালের গুড়িতে পরিমান মত লবণ মেশাতে হবে। এরপর দুধ ও অল্প পরিমাণ তরল খেজুর গুড় দিয়ে হালকা ভেজা ভেজা করতে হয়। মাখানোর পরও যেন ঝরঝরে থাকে, একদম ভিজে যেন না যায়। এরপর বাটিতে চালের গুড়ি দিয়ে তার উপর নারকেল কোরানো আর দানা খেজুর গুড় দিতে হবে।
এরপর আপনার পছন্দের সাইজ অনুযায়ী ভাপা পিঠা বানিয়ে ফেলুন জলীয় বাষ্পের আঁচে। পাঁচ-ছয় মিনিট পর পিঠা উঠিয়ে পরিবেশন করুন|
চিতই
ঐতিহ্যবাহী আরেক পিঠার নাম চিতই পিঠা। চালের আটা পানিতে গুলিয়ে গরম তাওয়াতে ভেজে এই পিঠা তৈরি হয়। এই পিঠা গুড় ( বিশেষত ঝোলা গুড়) দিয়ে খাওয়া হয়। এটি শুকনো অথবা দুধ ও গুড়ের তৈরি সিরায় ভিজিয়েও খাওয়া হয়।
লাগবে যা যা
- চালের গুড়া তিন কাপ,
- খেজুরের গুড় ১ কেজি,
- দুধ ২ লিটার,
- পানি ১ লিটার,
- পরিমান মতো লবণ এবং
- এলাচ ৪/৫ টুকরা
কিভাবে বানাবেন
পরিমাণ মতো পানি চালের গুড়া ও সামান্য লবন মিশিয়ে মাঝারি ঘনত্বের গোলা বানিয়ে নিতে হয়। পিঠা গুলো তৈরি করবার জন্য মাটির খোলা বা লোহার কড়াই ব্যবহার করা হয়। কড়াইটি তেল দিয়ে মুছে মুছে চালের গুড়োর গোলা ঢেলে গোল গোল পিঠা তৈরি করে নিন।
সুবিধা মতো পাত্রে গোল আকারে চিতই বানিয়ে নিন। এবার ১ লিটার দুধে এলাচ, তেজপাতা আর চিনি দিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন। দুধ আধা লিটার হলে পিঠাগুলো এর মধ্যে ছেড়ে দিন।
সিরা তৈরির উপকরণ: খেজুরের গুড় ২ কাপ, দুধ ৪ লিটার, দারুচিনি ২ টুকরা, এলাচ ২টি, পানি ৪ কাপ। খেজুরের গুড় পানি দিয়ে জ্বাল দিন। এলাচ, দারুচিনি দিয়ে ফুটে উঠলে নামিয়ে গরম পিঠা গুড়ের সিরায় ছাড়ুন। তারপর জ্বাল কমিয়ে দিন। ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখার পর পিঠা পরিবেশন করুন।
পিঠা খেতে ভালোবাসে সব বাঙালি। খুব কম সংখ্যক হয়ত খুঁজে পাওয়া যাবে বলা মুশকিল।