banner

রবিবার, ০৮ Jun ২০২৫ ইং, ,

পোস্টটি 472 বার পঠিত

 

শিশু কিশোরদের কোরআন এর অনুবাদ

শিশু কিশোরদের কোরআন এর অনুবাদ


কানিজ ফাতিমা


শিশু কিশোরদের জন্য প্রথবারের মতো সহজ বাংলায় কোরআনের অনুবাদ হতে যাচ্ছে – সবার দোয়া চাই –

এটুকু করতে লাগলো তিন দিন – ১ টা বাক্য লিখতে তিন ঘন্টার রেফারেন্স খুঁজতে হলো .

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে।

ভূমিকা:

মুহাম্মদ (সা.) জিবরীল (আ:) কে দেখে প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেলেন। চল্লিশ বছর বয়সে তিনি যখন হেরা গুহায় একাকী নির্জনে ধ্যানে মগ্ন ছিলেন, গভীরভাবে ভাবছিলেন সমাজের সব অসঙ্গতি আর অন্যায় জুলুম নিয়ে, ভাবছিলেন অসহায় মানুষের মুক্তির উপায় নিয়ে; ঠিক তখনই তার সামনে ভেসে উঠলো অতিপ্রাকৃত (supernatural) এক অবয়ব- যিনি বলে উঠলেন “পড়!” ( সূরা আলাক )

প্রথমে মুহাম্মদ (সা.) বুঝতে পারলেন না কি ঘটছে- ছুটে গেলেন বাড়ীতে। স্ত্রী খাদিজা (রাঃ ) তার বয়োবৃদ্ধ অন্ধ ভাই (cousin) ওরাকা (ওরাকা ইবনে নওফেল ইবনে আসাদ) এর কাছে নিয়ে গেলেন তাঁকে। ওরাকা সে যুগের বিজ্ঞ ও ধর্ম বিষয়ক জ্ঞানী ব্যক্তি হিসাবে সমাজে পরিচিত ছিলেন। ওরাকা বিস্তারিত ঘটনা শুনে নিশ্চিত করলেন যে যাকে মুহাম্মদ (সা.) আকাশের দিগন্তে দেখতে পেয়েছেন তিনি হলেন জিবরীল (আঃ); যিনি আল্লাহর নির্দেশে নবী-রাসূলদের কাছে আল্লাহর বাণী পৌঁছে দেন।

এর পরে মুহাম্মদ (সা.) নির্জনে আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন থাকার জন্য প্রায়ই পর্বতের গুহায় যেতে লাগলেন। একদিন মোহাম্মদ (সা.) যখন মক্কা নগরী ও পর্বতের রাস্তার মাঝামাঝি হাঁটছিলেন তখন আকাশ থেকে সেই কণ্ঠ তাঁর নাম ধরে ডেকে উঠলো- “হে মুহাম্মদ!” মুহাম্মদ (সা.) ভয়ে প্রকম্পিত হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখতে পেলেন সেই অবয়ব যাঁকে তিনি এর আগে হেরা গুহায় দেখেছিলেন। তিনি ভয় পেয়ে দ্রুত বাড়ী ফিরে গেলেন ও কাঁপতে কাঁপতে খাদিজা (রাঃ) কে বললেন, “জাম্মিলুনি, জাম্মিলুনি” অর্থাৎ “আমায় কম্বল দিয়ে আবৃত করে দাও।” (তখন নাজিল হয় সূরা মুদ্দাসসির এর প্রথম সাতটি আয়াত)

এই ঘটনা মুহাম্মদ (সা.) যখন আবারো ওরাকাকে জানালেন যখন ওরাকা তাকে বললেন যে এরূপ ঘটলে মুহাম্মদ (সা.) যেন স্থির থাকে এবং কি বলা হচ্ছে সেটা শোনে। আর মুহাম্মদ (সা.) যেন ওরাকাকে প্রতিটি ঘটনা জানায়।

এর কিছুদিন পরে মুহাম্মদ (সা.) যখন লোকালয় থেকে দূরে একাকী হাটছিলেন তখন আবারো সেই কণ্ঠের ডাক শুনতে পেলেন। এবার তিনি স্থির হয়ে দাঁড়ালেন। কণ্ঠ ডেকে বললো, “মুহাম্মদ!” তিনি জবাব দিলেন, “ আমি এখানে।” কণ্ঠ বলে উঠলো, “আপনি আল্লাহর প্রেরিত রাসূল আর আমি হচ্ছি ফেরেশতা জিবরীল।” জিবরীল (আঃ) বললেন – “ আমার সাথে সাথে উচ্চারণ করুন-” এর পরে সূরা ফাতিহার নিম্নলিখিত আয়াত সমূহ নাযিল হয়। সূরা ফাতিহাই সর্বপ্রথম নাজিল হওয়া পূর্ণ একটি সূরা।

Facebook Comments