banner

সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ ইং, ,

পোস্টটি 22 বার পঠিত

 

শিশু অধিকার আইন ২০২৫: ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের ওপর কেমন প্রভাব পড়বে

 

বাংলাদেশে প্রস্তাবিত “শিশু অধিকার আইন ২০২৫” নিয়ে বিতর্ক চলছে। বিশেষ করে, অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণ থেকে জন্ম নেওয়া সন্তানকে মায়ের স্বেচ্ছায় পরিত্যাগ করার সুযোগ দেওয়া ধারা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন সমাজ ও ধর্মীয় নেতারা।
আইনের একটি ধারায় বলা হয়েছে, কোনো নারী যদি অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণ থেকে জন্ম নেওয়া সন্তান লালন-পালনের ইচ্ছা বা সক্ষমতা না রাখেন, তবে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সন্তানকে রাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে হস্তান্তর করতে পারবেন। এই ধারা সমর্থকরা বলছেন, এটি নারীদের মানসিক ও আর্থিক চাপ কমানোর পাশাপাশি পরিত্যক্ত শিশুদের নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবে।
তবে, এই আইনের বিরোধিতা করছেন ধর্মীয় ও সমাজবিজ্ঞানীরা। ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, সন্তানকে পরিত্যাগ করা কোরআন ও হাদিসের শিক্ষার পরিপন্থী। সন্তানকে মহান আল্লাহর দান হিসেবে দেখার যে শিক্ষা, তা এই আইনের মাধ্যমে অবহেলিত হবে। হিন্দু ও খ্রিস্টান নেতারাও আইনটিকে ধর্মীয় মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে অভিহিত করেছেন।
সমাজবিজ্ঞানীরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, এই ধারা পরিবার কাঠামোকে দুর্বল করে তুলতে পারে। এটি অপব্যবহার করে অনেকেই দায়িত্ব এড়ানোর সহজ উপায় হিসেবে নিতে পারেন। তাছাড়া, এই আইনের ফলে নৈতিক অবক্ষয় এবং অসামাজিক কার্যকলাপ বাড়ার ঝুঁকিও রয়েছে।

সরকারি সূত্র জানিয়েছে, আইনটি এখনও খসড়া পর্যায়ে রয়েছে এবং এর চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার আগে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মতামত নেওয়া হবে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আইনটি বাস্তবায়নের আগে ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সংশোধন প্রয়োজন। পাশাপাশি, অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ এবং নৈতিক অবক্ষয় রোধে জনসচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

Facebook Comments