banner

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 777 বার পঠিত

 

শিশুর সুন্দর এবং অর্থবহ নামের গুরুত্ব

ইসলামে নামের গুরুত্ব সর্বাধিক কারণ কিয়ামতের ময়দানে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার বান্দাদেরকে নাম এবং তার পিতার নাম ধরে ডাকবেন। হযরত আবু দারদা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেছেন, কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে ডাকা হবে তোমাদের নামে এবং তোমাদের পিতার নামে। অতএব তোমাদের নামগুলো সুন্দর করে রাখ। (আবু দাউদ, বায়হাকী ও মুসনাদে আহমদ)

শিশুর জন্ম মানব মনে আনন্দের দোলা দিয়ে যায়। একটা নতুন দিগন্তের উন্মোচন হয় একটা শিশুর জন্মের সাথে সাথে। বাচ্চার জন্ম হওয়ার পর বাবা-মা’র পরিচয় অনেক সময় পরিবারের পরিচয়ও সন্তানের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যায়। মানুষজন বাবা-মাকে সন্তানের নামের সাথে মিলিয়ে ডাকতে শুরু করে। শিশু জন্মের পর প্রথম প্রয়োজন একটা সুন্দর আর্থবহ নামের, এটা তার মৌলিক অধিকার, এরশাদ হচ্ছে “আল্লাহ নিজে সুন্দর, তাই তিনি সুন্দরকে ভালবাসেন”। নাম সংস্কৃতি ও সভ্যতার পরিচায়ক, একটা জাতির স্বকীয়তা, সৌহার্দ ফুটে উঠে তাদের সন্তানদের নামের সাথে।শিশুর জন্য সুন্দর নাম নির্বাচন করা পিতা-মাতার অন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য। মানুষ মাত্রই সুন্দরের জন্য লালায়িত। একটি শিশু জন্ম গ্রহণের আগেই মা-বাবা একটি সুন্দর নামের খোঁজে সদা ব্যস্ত থাকেন। সুন্দর নাম রাখার চাইতে এই শিশুর জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার আর কিছু হতে পারে না। নামের প্রভাব সন্তানের উপর লক্ষণীয় ফলে সুন্দর নামের পাশাপাশি সুন্দর অর্থও থাকা জরুরী। আল্লাহর রাসুল সা কারো নামে অসংগতি বা নাম অপছন্দনীয় মনে হলে সাথে সাথে পরিবর্তন করে তিনি উত্তম নাম দিতেন। হযরত আবদুর রহমান (রা) বলেন, “আমি রাসূল (সা)এর নিকট উপস্থিত হলাম। তিনি প্রশ্ন করলেন? তোমার নাম কি? আমি বললাম, আমার নাম আবদুল উজ্জা। তিনি বললেন, ‘না তোমার নাম আবদুর রহমান, অন্য রেওয়ায়েতে আছে, আমার নাম আজিজ, মহানবী (সা) বললেন, ‘আজিজ তো আল্লাহ! (উজ্জা একটি মুর্তির নাম। আবদুল উজ্জা মানে হলো উজ্জার দাস এবং কাউকে আজিজ বলে ডাকাও নিষেধ।

ইসলামে নামের গুরুত্ব সর্বাধিক কারণ কিয়ামতের ময়দানে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার বান্দাদেরকে নাম এবং তার পিতার নাম ধরে ডাকবেন। হযরত আবু দারদা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেছেন, কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে ডাকা হবে তোমাদের নামে এবং তোমাদের পিতার নামে। অতএব তোমাদের নামগুলো সুন্দর করে রাখ। (আবু দাউদ, বায়হাকী ও মুসনাদে আহমদ)

নাম সুন্দর হওয়া এবং সুন্দর উচ্চারণে ডাকা কোনমতেই উপেক্ষার সুযোগ নেই।ইসলামের দৃষ্টিতে অর্থবহ এবং সুন্দর নাম বলতে বুঝায় ওই সমস্ত নাম,যে নামের মধ্য দিয়ে আল্লাহর প্রশংসা,দাসত্ব প্রকাশ পায়। আল্লাহর প্রিয়পাত্র নবী-রাসুলদের বরকতময় নামসমূহ।যে নামের দ্বারা আল্লাহর রহমত, করুণা ও মহত্ত্ব ফুটে উঠে সে ধরনের নাম রাখা উত্তম।কোরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এরশাদ করেন “সুন্দরতম নাম সমূহের অধিকারী আল্লাহ, অতএব তোমরা সেসব নাম ধরে তাঁকে ডাকো। যারা তাঁর নাম বিকৃত করে তাদেরকে বর্জন করো, তাদের কৃত কর্মের ফল তাদেরকে দেওয়া হবে।” (সূরা আরাফ-১৮০), আল্লাহর নিকট পছন্দনীয় নাম হলো আবদুল্লাহ এবং আবদুর রহমান। প্রিয় নাম হলো হারেস এবং হাম্মাম। অত্যন্ত অপছন্দের নাম হলো হারব ও মুররাহ। ইসলামী ঐতিহ্যের স্বয়ংসম্পুর্ন রুপরেখা সৌন্ধর্য চেতনা রক্ষাকরা সকল মুসলমানের দায়িত্ব কর্তব্য।এর জন্য প্রয়োজন একটা সুন্দর নামকরণের। ইসলামের চেতনা, সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক কোন নাম রাখা উচিত নয়।

মাওলানা সাকিব মুস্তানসির
আলেম ও বস্ত্র প্রকৌশলী

Facebook Comments