banner

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 673 বার পঠিত

 

শিশুর যত্নে প্যারেন্টিং


প্যারেন্টিং


বাসায় বাবা বা মা কেউ যদি কাঁচের জিনিস ভেঙ্গে ফেলে রাগ প্রকাশ করেন। তাহলে তা বাচ্চাও শিখে ফেলে। সুতরাং বাবা মা যা করে তা বাচ্চারাও শেখে। তাই প্রতিটি কাজই সতর্কতার সাথে বাচ্চাদের সামনে করতে হবে। আসুন দেখি কিছু কৌশল:

কথা বলবে কম

মন দিয়ে সত্যিকার অর্থ্যেই সন্তানকে বুঝতে চান। কথা শুনুন। আপনি সৎভাবেই তাকে বুঝতে চেষ্টা করুন। এমনকি নিজেকে আপনার সঙ্গে মেলে নাও নেয়, তবুই আপনি মহমর্মিতা দিয়ে শুনবেন। আপনি তার হৃদয়কে বুঝতে পারবেন, আপনি তার ক্ষতটা বুঝতে পারবেন।

ভুল করলে মাফ করা

বাচ্চারা যখন ভুল করলে মাফ করে দেওয়া। ভবিষ্যৎ এটা নিয়ে খোটা না দেওয়া। আমরা মূল্যায়ন করি (ইভালুয়েশন)। আমরা কারও কথা শুনে তার সঙ্গে একমত হই, নয়তো দ্বিমত পোষণ করি। একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি।

তৈরি করতে হবে ভালবাসাময় শান্তি পূর্ণ পরিবেশ

ছেলে বা মেয়ের সঙ্গে কোনো বিষয়ে কথা বলতে গেলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আছে কিনা খেয়াল করুণ, সেই ছেলে বা মেয়েটি কি আপনার সঙ্গে খোলামনে নিজেকে প্রকাশ করতে পারছে? সে মুখ দিয়ে যা বলছে তার উপর ভিত্তি করেই আপনি তাকে মূল্যায়ন করছেন, নাকি ভালোবেসে বুঝার চেষ্টা করছেন।

শর্তহীন ভাবে ভালবাসো

“ভালোবাসা’ অভ্যাসটি খুবই কার্যকরী এবং ক্ষমতাশালী। আপনার সন্তান মানুষের সঙ্গে সমস্যায় পড়লে একা সমাধান করা শিখুক, মতের অমিল হলে নিজের মত প্রকাশ করুক, সকল প্রকার সমস্যা মোকাবেলা করা শিখুক, এমন অসংখ্য বিষয় আছে যেগুলো আপনার সন্তান দক্ষতার সঙ্গে সমাধান করতে পারবে। তাহলে শর্তহীন ভালোবাসুন।

সাহায্য  করতে উৎসাহ দিন

বাসায় ছোটখাটো কাজে সাহায্য করা একত্রে। প্রত্যেক বাচ্চার কোন না কোন দক্ষতা আছে তা কাজে লাগিয়ে ঘরের কাজ করতে দিন। প্রশংসা করুন ঘরের কাজে সহযোগিতা করলে। ভালোভাবে কাজটা বুঝিয়ে।

Facebook Comments