ফাতেমা শাহরিন
পরিবার হল প্রথম এবং প্রধান স্থান বাচ্চাদের সুষ্ঠু বিকাশের জন্য। তাই বাচ্চাদের প্রতি যত্নশীল হওয়া চেষ্টা অবিরত প্রক্রিয়া। একটি সন্তান পৃথিবীতে আসে সুন্দর জীবনবোধ নিয়ে, পরবর্তীতে সমাজে উপযুক্ত নৈতিকতার সহিত গড়ে তোলার দায়িত্ববহন করে পরিবারের সব সদস্য। পরিবারের সদস্যদের জন্য কিছু টিপস,
১. চিঠি লিখুন
খুব ছোট করে হলেও বাচ্চাকে চিঠি লিখতে পারেন, আবার নিজেও চিঠি পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন! এতে সে লেখার প্রতি আগ্রহ পাবে।
২. কাঁদতে দিন
হাসির মতো কান্নাও একটি স্বাভাবিক আবেগ। বাচ্চা ব্যথা পেলে বা জেদ করলে তাকে কাঁদতে দিন। জোর করে তার কান্না থামাবেন না যদি না তা খুব বেশি দীর্ঘ না হয়। ধৈর্য ধরুণ সে থেমে যাবে।
৩. টিভি & মোবাইল
টিভিতে বিশেষ কোন প্রোগ্রাম এক সাথে বসে দেখন। হতে পারে খেলা। মোবাইলে শিক্ষণীয় ভিডিও কালেক্ট করে এক সাথে দেখতে পারেন।
৪. গানের সুরে শেখানো
বাচ্চারা গানের সুরে পড়তে ভালোবাসে। এবং সহজে আয়ত্ত করে নিতে পারে। গানের সুরে কবিতা এবং কঠিন সুত্র গুলো, নামগুলো শেখাতে পারেন।
৫. ঝাঁকিয়ে বা ছুঁড়ে মারা
বাচ্চারা বড়দের মতো খুব ভাল চিন্তাভাবনা করে ভুল করে না সুতরাং সেই দুষ্টমির জন্য বাচ্চাদের গায়ে কিছু ছুঁড়ে মারা বা ঝাঁকিয়ে আঘাত করা থেকে বিরত থাকুন।
৬. পড়ানো
বাচ্চারা অনুকরণ প্রিয়। আপনি যখন পড়েন ওর বয়স উপযোগী একটি বই ওর সামনে দিতে পারেন। এতে পড়ার আগ্রহ বাড়বে।
৭. কার্টুন দেখা
শিক্ষামুলক কার্টুন ‘মিনা কার্টুন বা সিসিমপুর’ বাচ্চার সাথে বসে মাঝেমধ্যে দেখুন এবং বর্নণা করুন আপনি কি কি দেখছেন।
৮. শিশুর নাম
বাচ্চাকে তার আসল অর্থবহ নাম ধরে ডাকুন। তাকে আজেবাজে নিক নামে ডাকবে না।
রেফারেন্স:
প্যারেন্টিং বই এবং নেট