পারিবারিক কলহের জের ধরেই খুন করা হয়েছে শিশু নেহাল সাদিককে। শিশুটিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করার পর আত্মহত্যারও চেষ্টা চালিয়েছিলেন মা মুক্তি বেগম। তিনি গলায় জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সোমবার দিবাগত রাত ১২টা বা এর কিছু পরে রাজধানীর উত্তরখানে মাস্টারপাড়া সোসাইটির একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটেছে। উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সিরাজুল হক বলেন, শিশুটির পেটের নাড়িভুড়ি বের হয়ে গেছে, যা দেখে ধারণা করা হচ্ছে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার পেট কাটা হয়েছে।
এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা দায়ের হয়নি। তবে পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে গেছে। উত্তরখান থানা পুলিশ সূত্র জানায়, বাবা সাজ্জাদ হোসেন পেশায় একজন গার্মেন্টস কর্মী। স্বামী সাজ্জাদ হোসেন ও স্ত্রী মুক্তির উভয়ের ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। বেশ কিছু দিন ধরে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল।
সোমবার সকালে স্বামী সাজ্জাদ হোসেনের সঙ্গে স্ত্রী মুক্তির ঝগড়া হয়। ঝগড়ার মধ্যেই সাজ্জাদ সকালে গার্মেন্টেসে চলে যান। রাতে বাসায় ফিরে দেখেন সন্তান নেহাল সাদিক রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। আর এসময় স্ত্রী মুক্তির গলাও রক্তাক্ত দেখেন। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন।
পরে রাতেই শিশুটিকে উদ্ধার কর ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারিও রাজধানীর বনশ্রীতে দুই শিশুকে হত্যা করেন মা মাহফুজা মালেক। এ ঘটনা সারাদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় প্রথমে পরিবারের পক্ষ থেকে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর কথা বলা হলেও লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে শ্বাসরোধে খুনের আলামত পাওয়া যায়। এরপর তদন্তে জানা যায়, শিশুদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত হয়েই দুই শিশুকে খুন করে মা।