মনের জানালা
ক্যানাডায় বেশ কয়েকটি প্রোগ্রাম এবং সংবাদ দেখেছিলাম। ইসরাইলে ইহুদীদের দুটি শ্রেণী রয়েছে। এদের একাংশ ধার্মিক এবং একাংশ রাজনৈতিক। যারা ধার্মিক তাঁরা বিবেকবান এবং ইসরাইলের রাজনৈতিক সম্প্রসারণবাদের বিরোধী।
তাঁরা শুধু মৌখিকভাবে বিরোধিতা করেই কর্মসম্পাদন করেন না বরং এই বিষয়ে সোচ্চার। এদের সন্তানদের মধ্য থেকে এক হাজার পাইলট সরকারের নির্দেশ সত্ত্বেও কোনপ্রকার ফিলিস্তিনি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানবেনা ঘোষনা করে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। তাদের অভিভাবকরা তাদের সমর্থনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ইসরাইলের ফিলিস্তিন বিষয়ক নীতির প্রতিবাদ জানিয়েছে। এসব খবর দেখেছি আর ভেবেছি আমরা তো প্রতিবাদ করার সাহসটুকুও রাখিনা! জেনেছি অনেক ইহুদী ইসরাইল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাদের স্বপ্নপূরণ হয়নি এই দুঃখে ঐ ভূখন্ড ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন অন্যত্র। তাঁরা এই অন্যায়ের কোন ভাগ চাননা। তাদের একজনের দেখা পেয়ে যাব ভাবিনি কোনদিন।
ক্যানাডায় দেখেছি ইহুদী সহকর্মীদের মাঝে যারা ধার্মিক ছিলেন তাঁরা কখনো মহিলাদের সাথে হ্যান্ডশেক করতেন না, হালালের ব্যপারে আমাদের অনেক মুসলিম কলিগদের চেয়ে ছিলেন অনেক বেশি সাবধান। এরা কাজের ব্যপারে অত্যন্ত আন্তরিক হতেন এবং লেখাপড়ার ব্যপারে অগ্রসর। অবশ্য যারা অধার্মিক ছিলেন তাদের কাহিনী পুরোই আলাদা।
কথাপ্রসঙ্গে বললাম বাবা ছোটবেলায় পাকিস্তানে পড়াশোনা করেছে, তারপর তো দেশবিভাগ হয়ে গেল। তিনি সাথে সাথে বলে উঠলেন, ‘পাকিস্তান বাংলাদেশের সাথে যা করেছে সেজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি। এমনটা হওয়া কিছুতেই কাম্য ছিলো না।
চলবে…
Facebook Comments