banner

রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 236 বার পঠিত

 

শাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলত ও নিয়ম

আন নাসাঈ তার ‘সুবুল উস সালাম’ গ্রন্থে বলেছেন, যদি রমজানের ৩০টি রোজার সঙ্গে শাওয়ালের ছয়টি রোজা যুক্ত হয়, তাহলে মোট রোজার সংখ্যা হয় ৩৬টি। শরিয়ত অনুযায়ী প্রতিটি পুণ্যের জন্য ১০ গুণ পুরস্কারের কথা উল্লেখ রয়েছে। তাহলে ৩৬টি রোজা ১০ গুণ পুরস্কারে পরিণত করলে তা ৩৬০টি রোজার সমতুল্য হবে।

শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখা মুস্তাহাব। হাদিস শরিফে এই ছয় রোজার অনেক ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে। হজরত আবু আইয়ুব আনসারী রা. সূত্রে বর্ণিত, মহানবি সা. বলেন, যে ব্যক্তি রমজানে সিয়াম পালন করবে, অতঃপর শাওয়ালের আরও ছয়টি সিয়াম পালন করবে সে সারা বছর রোজা রাখার সাওয়াব পাবে। (মুসলিম : ১১৬৪)

আন নাসাঈ তার ‘সুবুল উস সালাম’ গ্রন্থে বলেছেন, যদি রমজানের ৩০টি রোজার সঙ্গে শাওয়ালের ছয়টি রোজা যুক্ত হয়, তাহলে মোট রোজার সংখ্যা হয় ৩৬টি। শরিয়ত অনুযায়ী প্রতিটি পুণ্যের জন্য ১০ গুণ পুরস্কারের কথা উল্লেখ রয়েছে। তাহলে ৩৬টি রোজা ১০ গুণ পুরস্কারে পরিণত করলে তা ৩৬০টি রোজার সমতুল্য হবে। অর্থাৎ সারা বছরের রোজার সমতুল্য হবে। কোনো কোনো আলেম বলেন, রমজানের শেষে শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখতে হবে, এমন কথা নেই একনাগাড়ে। আবার কেউ কেউ মনে করেন, শাওয়াল মাসেই ছয়টি রোজা একনাগাড়ে রাখতে হবে এমন কথা নেই। শেষোক্ত মতামতটিই অধিক গ্রহণযোগ্য।

একটি বর্ণানায় পাওয়া যায়, প্রিয় নবী (সা.) আরও এরশাদ করেন, আল্লাহ তায়ালা শাওয়াল মাসের ৬ দিনে আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি ওই ৬ দিন রোজা রাখবে আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক সৃষ্টি জীবের সংখ্যা হিসাবে তার আমলনামায় নেকি লিখে দেবেন, সমপরিমাণ বদি দূর করে নেবেন এবং পরকালে তার দরজা বুলন্দ করে দেবেন।

শাওয়ালের রোজা রাখার নিয়ম : মাসের শুরুতে মধ্যে বা শেষে যে কোনো সময় আদায় করতে পারবে। রোজা ছয়টি ধারাবাহিকভাবে বা মাঝে মাঝে ফাঁকা রেখেও আদায় করতে পারবে। নারীরা পিড়িয়ডের কারণে কাজা হওয়া রমজানের রোজা আলাদাভাবে আদায় করতে হবে। শাওয়ালের ছয় রোজার সঙ্গে মিলিয়ে নিয়ত করতে পারবে না। বরং আগে কাজা শেষ করবে, পরে শাওয়ালের ছয় রোজা পালন করবে।

মাওলানা মিরাজ রহমান

Facebook Comments