রোজা রেখে অনেকেই গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন। এমনকি যাদের সাধারণ সময়ে গ্যাসের সমস্যা নেই তাদেরও এই সমস্যাটি দেখা দিতে পারে। রোজার সময় গ্যাসের সমস্যার মূল কারণ হিসেবে ধরা হয় ইফতারিতে ভাজাপোড়া খাওয়া এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খাওয়াকে। গ্যাসের ব্যথার কারণে রোজা ভেঙে ফেলতে বাধ্য হন। কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে পর্যন্ত ভর্তি হন।
রোজার সময় সুস্থ থাকতে ইফতারে যতটা সম্ভব ভাজা পোড়া খাবার এড়িয়ে চলা উচিৎ। শরীরের উপযোগী ইফতারের তালিকায় থাকতে পারে ফলমূল জাতীয় খাবার। যাদের দুধে গ্যাস হয় না তারা দুধ চিড়া খেতে পারেন। এছাড়া হজমের সমস্যা দূর করার জন্য ইসুবগুলের ভুসির শরবত খেতে পারেন।
সেহরিতে এমন খাবার খাওয়া উচিৎ যা থেকে গ্যাসের কোনো ভয় থাকবে না। সেহরিতে শাক, ডাল, ডিম এই জাতীয় তরকারি যতটা পারা যায় এড়িয়ে চলা ভালো। ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার বিশেষ করে দই, শসা ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া সেহরিতে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি মেনে চলা প্রয়োজন তা হল পর্যাপ্ত পানি পান করা। একমাত্র পানি আপনাকে সারাদিন সুস্থ স্বাভাবিক রাখতে পারে। তাই সেহরিতে প্রধান খাবার গ্রহণের পরে তিন থেকে চার গ্লাস পানি পান করুন।
অনেকেই আছেন যারা সেহরিতে খাবার খান না। আবার অনেকেই আছেন সেহরিতে অনেক বেশি খেয়ে ফেলেন। সেহরিতে খুব বেশি খাওয়াও যেমন ঠিক না তেমনি সেহরি একেবারে না খাওয়াও ঠিক না। খুব বেশি খাবার খেলে হজমে সমস্যা হয় আবার সেহরিতে একেবারে কিছু না খেলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। বেশি সময় পেট খালি থেকেও গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। তাই এমনভাবে খেতে হবে যেন শারীরিক কোনো অসুস্থতা না দেখা দেয়। এক্ষেত্রে পুরো পেট ভরে না খেয়ে একটু ক্ষুধা রেখে খেতে হবে। তারপর কিছুক্ষণ পর পানি খেতে হবে। প্রতিবেলার খাবার হতে হবে সহজপাচ্য, পরিমিত ও শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী।
এসময় চিনি যুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে। কেননা এটা খুব তাড়াতাড়ি রক্তে চিনির মাত্রা বাড়ে এবং ওজনও বাড়ে।
রমজান মাসে রোজা রাখার কারণে যাদের ওষুধ খাওয়ার নিয়মের সমস্যা হয় বা অনেকেই আছেন খাওয়ার আগে ওষুধ খেতে ভুলে যান তারা রেবিপ্রাজল ২০ এমজি (বাজারে রেব , রেবিজল ,ফিনিক্স ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়) খেতে পারেন। এই ওষুধের একটি বিশেষ সুবিধা হল আপনি যদি খাবার আগে ওষুধ খেতে ভুলেও যান, খাবার পরেও এই ওষুধটি খেতে পারেন।