‘যদি সমাজের কাজ করিতে চাও, তবে গায়ের চামড়াকে এতখানি পুরু করিয়া লইতে হইবে যেন নিন্দা-গ্লানি, উপেক্ষা-অপমান কিছুতেই তাহাকে আঘাত করিতে না পারে;মাথার খুলিকে এমন মজবুত করিয়া লইতে হইবে যেন ঝড়-ঝঞ্ঝা, বজ্র-বিদ্যুৎ সকলই তাহাতে প্রতিহত হইয়া ফিরিয়া আসে৷’ — এমনি ক্ষুরধার আহব্বান নিয়ে যে নারীর আত্মপ্রকাশ তিনিই রোকেয়া নামের সেই মহিয়সী রমনী যিনি এই উপমহাদেশের নারী জাগরণের পথিকৃৎ সম প্রদীপ ৷ যে প্রদীপের আলো আজও সমুজ্জল৷
১৮৮০ সালের ৯ডিসেম্বর রংপুরের পায়রাবন্দ গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তাঁর জন্ম এবং ১৯৩২ সালের ঠিক এই দিনেই মাত্র ৫২ বছর বয়সে আবার তাঁর তিরোধানও ঘটে ৷ বুঝ হওয়াকাল থেকেই এই মহীয়সী নারী তৎকালীন অন্ধকারাচ্ছন্ন নারী সমাজের মুক্তির লক্ষ্যে জেগে উঠেন আপন সত্তায় জাগ্রত হয়ে৷ ফলে দেখা যায় বিশেষভাবে লেখনীর মাধ্যমে সমাজকে নাড়া দিতে গিয়ে প্রথমেই তিনি ১৯০২ সালে ‘পিপাসা’ নামক প্রবন্ধ লিখে তাঁর আন্দোলন শুরু করেন এবং ১৯৩২ সালে মৃত্যুর আগে আগে তার অসমাপ্ত লেখনী ‘নারীর অধিকার’ নামক প্রবন্ধের মাধ্যমে তাঁর আন্দোলনের পরিণতি ঘটান ৷
ইদানীং সাহিত্য জগতে বা রাজনৈতিক অঙ্গনে নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে (১৮৮০-১৯৩২) অনেকেই চাচ্ছেন নারীবাদী বলে মূল্যায়ন করতে৷ কিংবা পুরুষ বিদ্বেষী বলে পরিচিত করতে৷ কিন্তু আমি বলবো তাঁর রচনাবলীই তাঁর পরিচয় বহন করছে৷ কেননা দেখা যাচ্ছে বেগম রোকেয়ার লেখালেখি, বক্তব্য, কর্মময় জীবন থেকে অবিসংবাদিতভাবে প্রমানিত যে, তিনি ধর্ম বিদ্বেষীও ছিলেন না কিংবা তিনি পুরুষ বিদ্বেষীও ছিলেন না- যা নারীবাদের প্রধান বৈশিষ্ট্য৷ তিনি যুদ্ধ করেছেন প্রচলিত প্রথা বা প্রতিষ্ঠিত সমাজ ব্যাবস্থার বিরুদ্ধে -আর সেটি যেহেতু পুরুষ দ্বারাই পরিচালিত সেহেতু তীরটাতো ওদিকে যাবেই কিছুটা কিন্তু সেটি ছিলো গঠনমুখী৷ মূলতঃ তৎকালীন কুসংস্কারে আচ্ছন্ন সমাজের কর্ণধারগণ স্বীয় প্রতাপ প্রতিষ্ঠিত রাখতে ধর্মের দোহাই দিয়ে স্বঘোষিত আইনকানুন প্রয়োগে লিপ্ত ছিলেন যা বেগম রোকেয়া তাঁর দূরদর্শীতা দিয়ে বুঝতে পেরেছিলেন ৷ ফলে সোচ্চার প্রতিবাদী ভূমিকা রেখে গিয়েছেন৷ তাঁর উপলব্দিগত বক্তব্য ছিল এরূপঃ “আমরা সমাজের অর্ধাঙ্গ; আমরা পড়িয়া থাকিলে সমাজ উঠিবে কিরূপে? কোনো ব্যক্তি এক পা বাঁধিয়া রাখিলে সে খোঁড়াইয়া খোঁড়াইয়া কতদূর চলিবে? পুরুষের স্বার্থ আর আমাদের স্বার্থ ভিন্ন নহে৷ তাহাদের জীবনের উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য যাহা আমাদের লক্ষ্যও তাহাই৷” তিনি আরো বলেছেন ,”দেহের দুটিচক্ষু স্বরূপ নারী-পুরুষ; মানুষের সব রকমের কাজ কর্মের প্রয়োজনে দুটি চক্ষুর গুরুত্ব সমান ৷” মতিচূর প্রবন্ধে রূপকার্থে বলেছেন;” যে শকটেরএক চক্র বড়(পতি) এবংএক চক্র ছোট হয়(পত্নী) সে শকট অধিকদূর অগ্রসরর হইতে পারেনা৷সে কেবল একই স্থানে ( গেহকোনে) ঘুরিতে থাকিবে৷ তাই ভারতবাসী উন্নতির পথে অগ্রসর হইতে পারিতেছেনা৷”
বরং তিনি পুরুষদের সমালোচনা না করে প্রতিকারের জন্য নারীদের সক্ষমতা অর্জনের পরামর্শ দিয়েছেন তার লেখনীতে৷ যেমন তিনি তাঁর ‘রানী ভিখারীনি ‘ প্রবন্ধে নারীদেরে উদ্দেশ্য করে বলেছেনঃ “অযোগ্য বলার জন্য রাগ না করিয়া যোগ্য হইবার চেষ্টা করাই শ্রেয় ৷” — এমনি যাঁর আহবান তাঁকে আমরা পুরুষ বিদ্বেষী নারীবাদী বলি কি করে?
আবার দেখা যায়, যে ধর্ম (ইসলাম) নারীর শিক্ষা, অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার সেই ধর্মের অনুসরণে তিনি তাঁর স্বীকৃতি স্বরূপ ‘নারী শিক্ষা সমিতি’ প্রবন্ধে বলেছেনঃ “পৃথিবীর যিনি সর্বপ্রথম পুরুষ-স্ত্রীলোককে সমভাবে সুশিক্ষা দান করা কর্তব্য বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন তিনি আমাদের রাসূল মকবুল (সাঃ) ৷” আরো বলেছেন, “শিক্ষা লাভ করা সব নারীর অবশ্য কর্তব্য৷ কিন্তু আমাদের সমাজ সর্বদা তাহা অন্যায় করিয়াছে—মেয়েদের এমন শিক্ষায় শিক্ষিত করিয়া তুলিতে হইবে যাহাতে তাহারা ভবিষ্যত জীবনের আদর্শ গৃহিনী, আদর্শ জননী এবং আদর্শ নারী রূপে পরিচিত হইতে পারে ৷”
তৎকালীন বঙ্গীয় মুসলিম সমাজের করুণ দশা দেখে তাঁর মুক্তিকামী হৃদয় জেগে উঠেছিলো অধিকার চেতনায়৷ তারই আন্দোলনের ছাপ তাঁর লেখনীর ছত্রে ছত্রে নিবদ্ধ৷ শিক্ষা তথা উপযুক্ত শিক্ষার অভাব ই তৎকালীন অজ্ঞতায় নিমজ্জিত নারী সমাজের দুঃখ-দূর্দশার মূল কারণ ৷ এই বাস্তবতা হেতু উল্লেখ করে ‘বঙ্গীয় নারী শিক্ষা সমিতির’ সভার অভিভাষণে তিনি বলেন, ” মোছলমানদের যাবতীয় দৈন্য-দূর্দশার একমাত্র কারণ স্ত্রী শিক্ষার ঔদাস্য৷” প্রকৃতঃঅর্থেই তাই৷ সে সময় নারী এমনকি একটি শিশু বালিকাকেও এতটাই ঘরের কোনে বন্ধী রাখতে সচেষ্ট ছিল সে সমাজ যে, বিদ্যাশিক্ষাতো দূরে বাইরের আলো বাতাস ও দেখার স্বাধীনতা ছিলনা তাদের ৷ পর্দার নামে এমনই কঠোরতা বিরাজমান ছিলো যে, অচেনা-বেগানা নারীদের সামনেও শিশু বয়স থেকেই যাতায়াত নিষিদ্ধ ছিল৷ এভাবে একসময় নারী জাতি নিজেই নিজের উপর একটা শৃঙ্খলিত আভরণ পরিয়ে নিয়েছিল যা তাঁর ‘অবরোধ বাসিনী’ বইতে প্রচ্ছন্ন৷ ৷
নারীকূলের এমন ঔদাসীন্যতার জন্য তিনি ‘আমাদের অবনতি’ প্রবন্ধে লিখেছেনঃ “আমরা আলস্যের, প্রকারান্তরে পুরুষের দাসী হইয়াছি৷ ক্রমশঃ আমাদের মন পর্যন্ত দাস হইয়া গিয়াছে৷ এবং আমরা বহুকাল দাসীপনা করিতে করিতে দাসত্বে অভ্যস্থ হইয়া পড়িয়াছি৷ এইরূপে আমাদের স্বাবলম্বন, সাহস প্রভৃতি মানসিক উচ্চবিত্ত গুলো অনুশীলনের অভাবে বার বার অঙ্কুরে বিনাশ হওয়ায় এখন আর বোধ হয় অঙ্কুরিত হয় না৷” তাইতো তিনি বলেছেন; “ভগিনীরা! চুল রগড়াইয়া জাগিয়া উঠুন, অগ্রসরর হউন৷ মাথা ঠুকিয়া বলো মা! আমরা পশু নই৷ বলো ভগিনী আমরা আসবাব নই৷ বলো কন্যা! আমরা জড়োয়া অলঙ্কার রূপে লোহার সিন্ধুকে আবদ্ধ থাকিবার বস্তু নই৷ সকলে সমস্বরে বলো— আমরা মানুষ!”
তাঁর এই চেতনার প্রকাশ্য রূপই ১৯০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা ৷ অনেক বাঁধা-বিঘ্ন অতিক্রম করে বাঙালি মুসলিম নারী সমাজের শিক্ষা বিস্তারে এ প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে সে সময়ে৷ এছাড়া তিনি ১৯১৬ সালে ‘আঞ্জুমানে খাওয়াতীনে ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মুসলিম নারী সমাজকে সংঘবদ্ধ করেছেন- যা ছিলো তাঁর নারী অধিকার আন্দোলনের প্রকৃষ্ট উদাহারণ৷ ১৯০৪ সালে তিনি ‘ নবনূর’ পত্রিকায় লিখেনঃ “আমরা উচ্চ শিক্ষা প্রাপ্ত না হইলে সমাজও উন্নত হইবে না৷—- তাই আমাদিগকে সকল প্রকার জ্ঞান চর্চা করিতে হইবে৷ প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে তিনি নারীকে তাঁদের অলঙ্কারে সজ্জিত থাকার চেয়ে জ্ঞানঅর্জনে ভূষিত হবার প্রাধান্য দিয়েছেন বেশী৷ এজন্য তিনি শেকল তূল্য অলঙ্কার ছেড়ে জ্ঞানচর্চার আহবান জানিয়ে ‘বোরকা’ প্রবন্ধে লিখেছেনঃ ” নারীর শোভন অলংকার ছাড়িয়া জ্ঞানভূষণ লাভের জন্য ললনাদের আগ্রহ বৃদ্ধি হওয়া বাঞ্ছনীয়৷” অন্যত্র বলেছেন, “না জাগিলে ভারত ললনা এ ভারত জাগিবেনা” ৷”” আরো বলেন;কন্যারা জাগ্রত না হওয়া পর্যন্ত দেশ মাতৃকার মুক্তি অসম্ভব৷”
ধর্মের দোহাই দিয়ে নারীশিক্ষা বিদ্বেষী কথিত আলেমদের বিরুদ্ধাচারণ করে তিনি স্বীকৃতি দেন যে , ইসলামই প্রথম উদ্যোগ নেয় নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় আর এর পথিকৃৎ হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)৷ যা তিনি অকপটে প্রচার করেন এবং আরো দাবী করেন যে, “মোছলমান বালিকাদের প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে কোরান শিক্ষাদান করা সর্বাপেক্ষা অধিক প্রয়োজন৷ ” এ দাবীর ব্যাখ্যায় তিনি আরো বলেন যে, ” আপনারা কেহ মনে করিবেন না যে , প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে কোরান শিক্ষা দিতে বলিয়া আমি গোঁড়ামীর পরিচয় দিলাম৷ তাহা নহে,আমি গোঁড়ামী হইতে বহু দূরে৷ প্রকৃত কথা এই যে, প্রাথমিক শিক্ষা বলিতে যাহা কিছু শিক্ষা দেয়া হয়, সে সমস্ত ব্যবস্থাই কোরানে পাও যায় ” -তাঁর এ বক্তব্য থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় তিনি ধর্ম বিদ্বেষী নন বরং ধর্মের অপব্যবহার, ধর্মের নামে গোঁড়ামীতা, কুসংস্কার ইত্যাদির বিরুদ্ধে তাঁর আন্দোলন গড়ে তোলেন ক্ষুরধার ‘মসি’ চালিয়ে৷ তিনি তাঁর ‘আমাদের অবনতি’ প্রবন্ধে লিখেছেনঃ ” আমরা সমাজেরই অর্ধাঙ্গ৷ আমরা পড়িয়া থাকিলে সমাজ উঠিবে কিরূপে? কোনো ব্যক্তির এক পা বাঁধিয়া রাখিলে সে খোঁড়াইয়া কতদূর চলিবে? পুরুষদের স্বার্থ আর আমাদের স্বার্থ ভিন্ন নহে, একই৷”
যে সময়ে নারী জাতিকে জড়বস্তুতূল্য ভাবা হতো, কোনো কোনো ধর্মে নারীদেহে প্রাণ আছে বলেও ভাবা হতোনা সে সমাজের চিত্র তাঁকে কাঁপিয়ে তোলে নারীর অধঃপতনের দৃশ্যকল্পে৷ তাইতো তিনি বিশ্বমানবতার মুক্তিদূত , নারীমুক্তির পথিকৃৎ হযরত রাসূলে মকবুলের সাঃ ভূমিকাকে প্রাধান্য দিয়ে তাঁর ‘অর্ধাঙ্গী’ প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেনঃ” আরবে স্ত্রী জাতির প্রতি অধিক অত্যাচার হইতেছিলো৷ আরববাসীগণ কন্যা হত্যা করিতেছিলো তখন হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কন্যা কূলের রক্ষক স্বরূপ দন্ডায়মান হইয়াছিলেন৷ তিনি কেবল বিধি ব্যবস্থা দিয়াই ক্ষান্ত থাকেন নাই৷ স্বয়ং কন্যা লালন করিয়া আদর্শ দেখাইয়াছেন৷” – এই চেতনা থেকেই উদ্বুদ্ধ হয়ে বেগম রোকেয়া ইসলামী বিধান অনুযায়ী নারীর মর্যাদা ও অধিকার আদায়ের আহব্বান জানিয়েছেন৷ তিনি তৎকালীন পর্দা নামের অবরোধ প্রথার বিরোধিতা করে শরিয়াত সম্মত পর্দা করতে আগ্রহী হয়ে ‘বোরকা’ প্রবন্ধে বলেনঃ “আমরা অন্যায় পর্দা ছাড়িয়া আবশ্যকীয় পর্দা রাখিবো ৷ প্রয়োজন হইলে অবগুণ্ঠনসহ মাঠে বেড়াইতে আমাদের আপত্তি নাই৷” — বেগম রোকেয়ার এসকল উক্তি প্রমান করে যে তিনি ধর্ম বিদ্বেষী তো ননই পুরুষ বিদ্বেষীও নন বরং ইসলামের অনুসরণেই ‘নারী মুক্তি সংগ্রামে’ নিবেদিত প্রাণ ছিলেন তিনি ৷ সুতরাং তাঁকে ‘নারীবাদী’ বলে অপব্যাখ্যায় না নিয়ে আমরা বলবোঃ বেগম রোকেয়া নারী মুক্তি আন্দোলনের পথিকৃৎ৷
পরিশেষে বলবো, শিশু কাল থেকে বেগম রোকেয়াকে প্রজ্জলিত করতে, সমাজের বুকে এগিয়ে নিতে, প্রতিকূল পরিবেশেও বলিষ্ঠতার সাথে প্রতিষ্ঠিত হতে যাঁদের অবদান তাঁর পেছনে ভূমিকা রেখেছিলো তাঁরা আর কেউ নন; সেই পুরুষ জাতই ৷ বিশেষ ভাবে তাঁর বড় ভাই, তাঁর স্বামীর নাম উল্লেখযোগ্য৷
এক্ষণে মনে পড়ে যায় বিদ্রোহী কবির সেই যুগান্তকারী চরণঃ ‘এ বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যানকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর৷”— এটা চিরন্তন সত্য যে একটি সুস্থ-সুষ্ঠু সমাজ গড়ে তুলতে শুধু নারীর একলা পদচারণা নয় বরং অবশ্যই পুরুষের নির্ভরযোগ্য, বলিষ্ঠ হাতের একাত্মতার প্রয়োজন আছে তাই আমরা স্বতঃই বলতে পারি; ধর্মবিদ্বেষী ,পুরুষ বিদ্বেষী নারীবাদিতার স্লোগানে নয় বরঞ্চ বেগম রোকেয়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে নিতে হবে “নারী অধিকার আন্দোলনের ” স্লোগানে৷ যা তাঁর রচনাতেই প্রমানিত৷
সহায়ক গ্রন্থঃ রোকেয়া রচনাবলী
লেখিকাঃ কবি ও লেখক৷ ( অবঃ প্রঃ শিঃ ৷ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা৷) সাহিত্যসংস্কৃতি বিভাগ প্রধানঃ সামাজিক সংগঠন “নারী অধিকার আন্দোলন৷”