সামিয়া কালাম
এটা আমি শিখেছি নগর চাষী শাওন মাহামুদ আপার কাছ থেকে। নিজের যা আছে সেই টুকু নিয়েই তাঁর সন্তুষ্টি। মাঝে মাঝে মাসের শেষের দিকে আমাদের মত অনেকেরই সূতোয় টান খায়। কিন্তু আদি-অকৃত্রিম মধ্যবিত্তের মত আমরা সেটাকে সফল ভাবে গোপন করি। ভালো কোনো রেস্তোরাঁ গেলে চেক-ইন দেই। কিন্তু যেদিন খুব মামুলি রান্না গুলো দিয়ে কাজ চালিয়ে নিতে হয়! সেদিনের পোষ্ট অন্তত আমি কখনো দেইনি। সেই অবস্থান থেকে আজ সরে এলাম।
এটা একটা ভর্তার প্রিপারেশান। কচি লাউ এর খোসা, পাকা পটল এবং খোসা, খোসা সহ কচি মিষ্টি কুমড়ো, আস্ত রসুন, লবন আর কাঁচা মরিচ। সব কিছু দিয়ে সেধ্য বসিয়ে দেই। আমরা হয়তো জানি সবজি অনেক টুকু পুষ্টি রয়ে যায় খোসায়। এই খোসা গুলো আমার ফেলে দিতে ইচ্ছে করেনা। মাসের শেষ কিংবা শুরু বলে কথা নয়। আমি চাই কিছুটা ভিন্নতা এবং উপযোগ সৃষ্টি করতে।
হয়তো বাটাবাটির ঝামেলায় অনেকেই যেতে চান না। তাহলে মিক্সি তো আছেই। সেধ্য হওয়া খোসা গুলো মিক্সিতে মিক্স করে নিতে হবে। তারপর পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি এক চিমটি কালো জিরে, দু একটা শুকনো মরিচ দিয়ে তেলে বাগার দিতে হবে। খোসার ভর্তা আমার বাসায় মাঝে মাঝেই তৈরি করা হয়। এর স্বাদ বৃদ্ধির জন্য সেধ্য করা খোসা বাটার সময় চিংড়ি মাছ যোগ করা যেতে পারে।
আজ দুপুরে এই খোসা সেধ্য যখন উনুনে চাপিয়েছি, একটু পর আগুনের তাপে সবুজের উজ্জ্বলতা বেড়ে গেল। ঝক ঝকে সবুজ সে রঙ প্রশান্তি দেয়, অন্তত আমায়।