বাড়ির অন্যতম প্রধান বা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হলো রান্নাঘর। গৃহিনীদের সারাদিনের অর্ধেকের বেশি সময় কাটাতে হয় এখানে। আপনাদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস যা আপনাদের রান্নাকে মজাদার করে তুলবে।
♦মাংসে পিঁয়াজ কুচি
মাংশ জাতীয় যে কোন খাবারর রান্না করারর সময় শেষে বেরেস্তা (পেঁয়াজ কুচি ভাজি) দিয়ে দিন। স্বাদ বেড়ে যাবে।
♦ডিম সিদ্ধ
ডিম সিদ্ধ করতে পানিতে সামান্য লবন দিন। ডিম খেতে সুস্বাদু হবে। গরমাবস্থায় ডিম ছিলবেন না, ঠান্ডা করে ছিলুন এতে খোসায় লেগে ডিম নষ্ট হবে না। আর লেবুর রস দিতে ভুলবেন না, তাহলে খোসা ছিলতে সুবিধা হবে।
♦হাড়ির ঢাকনা
চুলায় হাড়ি পাতিলে ঢাকনা থাকলে তা খালি হাতে ধরবেন না। গরম থাকলে হাত পুড়ে যেতে পারে। ঢাকনা ধরার ব্যপারে অধিকাংশ সময় আমরা সাবধান থাকি না।
♦ভর্তা
মরিচটা ভাল করে গুড়ো করুন। তারপর ভর্তার উপকরণ দিয়ে চামুচ ব্যবহার করুন।কারণ ভর্তা বানাতে মরিচ খালি হাতে ঢলবেন না, হাত জ্বলে আপনি কষ্ট পেতে পারেন।
♦মাছ ভাজি
মাছ ভাঁজতে কড়াই থেকে একটা নিদিষ্ট দূরে থাকুন। অথবা চুলা কমিয়ে দিন। মাছে পানি থাকলে কিংবা ফুটে আপনার গায়ে/চোখে তৈলের চিটকা পড়তে পারে। সাবধানে কাজ করবেন। দূর থেকে নাড়ুন।
♦শুকনো মরিচ ভাজা
শুকনা মরিচ ভাজলে বা পুড়লে বাতাসে একটা ঝাঁজ তৈরী হয় এতে হাচি, কাচি এসে নাস্তা নাবুদ হয়ে যেতে পারেন। ভাজার সময় রান্নাঘরের দরজা জানালা ভাল করে খুলে দিন। প্রয়োজনে এডজাষ্টার ফ্যান থাকলে তা চালিয়ে দিন। ছিমের পাতা মুড়িয়ে ভাজলে হাচি হয় না।
♦ভাজিতে অতিরিক্ত তেল
ভাজিতে তেল বেশী পড়ে গেলে ভাজি কড়াই, প্যানের এক দিকে সরিয়ে কড়াই/প্যান কাত করে রেখে দিবেন ১৫/২০ মিনিট। তারপর ঐ কাত করা অবস্থাতেই ভাজিগুলো বাটিতে নিয়ে নিবেন। আর ঐ বাড়তি তেল পরে অন্য ভাজিতে ব্যাবহার করতে পারবেন। মাংসের তরকারীতেও যদি তেল বেশী হয়, উপর থেকে চামচ দিয়ে তেল উঠিয়ে পরে ভাজিতে ব্যাবহার করলে ভালো লাগে।
♦রান্নার স্বাদ বাড়াতে এলাচ গুড়ো
এলাচ সম্পুর্ণ গুড়ো করে ব্যবহার করা ভাল। গোটা এলাচ কামড়ে পড়লে খাওয়ার মজাই নষ্ট হয়ে যায়। আবার এলাচ ভালো করে না ফাটালে তো সুগন্ধই হবেনা।
আজকের রান্নার স্বাদ-১
Facebook Comments