banner

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 160 বার পঠিত

রাজধানীতে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার

images (1)

হাতের মেহেদি শুকিয়ে যাওয়ার আগেই লাশ হতে হলো গৃহবধু কে! নতুন জীবন শুরু হতে না হতেই একে বারেই নিভে গেলো জীবন প্রদীপ! রাজধানীর দক্ষিণখান থানা এলাকা থেকে ইসরাত জাহান ওরফে নিপা (১৯) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিয়ের দুই মাস পর এ ঘটনা ঘটল।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, খবর পেয়ে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে দক্ষিণখানের পূর্ব আজমপুরের মুন্সিরোড এলাকার একটি বাড়ির চারতলা বাসার দরজা ভেঙে ইসরাতের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশটি ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ছিল।
লাশ উদ্ধারকারী কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ইসরাতের স্বামী শহীদুল্লাহ ইতালিপ্রবাসী। দক্ষিণখানের বাসায় ইসরাতের শ্বশুর-শাশুড়ি ও এক দেবর থাকেন। তাঁদের ভাষ্যমতে, গত রোববার রাত ১২টার দিকে খাওয়া-দাওয়া করে ইসরাত তাঁর কক্ষে ঘুমাতে যান। গতকাল অনেক বেলা হলেও ঘুম থেকে না ওঠায় তাঁরা দরজা ধাক্কা দিয়ে দেখেন, ভেতর থেকে বন্ধ। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
এসআই বলেন, লাশের ধরন দেখে মনে হচ্ছে, ইসরাত আত্মহত্যা করেছেন। তবে কারণ জানা যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মর্গে ইসরাতের বাবা মো. ইউসুফ জানান, তাঁদের গ্রামের বাড়ি ফেনী সদরের ফরহাদ নগরে। ইসরাত ফেনী সদরের একটি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্রী। ফেনী সদরের বাসিন্দা শহীদুল্লাহর সঙ্গে দুই মাস আগে বিয়ে হয় ইসরাতের। এর পর থেকে ঢাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। কিছুদিন আগে ইতালি চলে যান শহীদুল্লাহ।
ইউসুফ বলেন, পূর্বপরিচয়ের সূত্রে বিয়ে হলেও কিছুদিন পর অনানুষ্ঠানিকভাবে তাঁরা বিয়ে মেনে নেন। এরপর ইসরাত তাঁর মায়ের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলতেন। প্রায় সময় ইসরাত মায়ের কাছে শাশুড়ির মানসিক নির্যাতনের কথা বলতেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এসআই সাইফুর বলেন, মানসিক নির্যাতনের বিষয়ে ইসরাতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে এ ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। তবে তদন্তে সন্দেহজনক কোনো কিছু পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

Facebook Comments