রমদ্বানের রোজা ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম। তবে ইসলামে মা ও শিশুর সুস্থতার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই অন্তঃসত্ত্বা ও স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য রোজার ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় রয়েছে।
স্তন্যদানকারী মায়ের রোজার বিধান
যদি কোনো মা রোজা রাখার কারণে নিজের বা সন্তানের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পরিস্থিতিতে পড়েন, তাহলে তার জন্য রোজা না রাখা বৈধ। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন:
“আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, কঠিন করতে চান না।” (সূরা বাকারা: ১৮৫)
এই আয়াতের ভিত্তিতে ইসলাম বিশেষ পরিস্থিতিতে রোজার বাধ্যবাধকতা শিথিল করেছে।
হাদিসেও এ বিষয়ে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে। আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত,রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
“আল্লাহ তাআলা মুসাফিরের জন্য অর্ধেক নামাজ ও রোজা মাফ করে দিয়েছেন এবং অন্তঃসত্ত্বা ও স্তন্যদানকারী নারীদের জন্যও রোজা মাফ করে দিয়েছেন।” (তিরমিজি: ৭১৫, ইবনে মাজাহ: ১৬৬৭)
রোজা না রাখলে করণীয়
যদি কোনো মা রোজা রাখতে অক্ষম হন, তাহলে পরে সেই রোজাগুলোর কাজা আদায় করতে হবে। তবে কিছু আলেমের মতে, কাজার পরিবর্তে দরিদ্রদের খাওয়ানোও গ্রহণযোগ্য হতে পারে, বিশেষত যদি দীর্ঘ মেয়াদে কাজা রাখা কঠিন হয়।
রমদ্বানে স্তন্যদানকারী মায়ের করণীয়
১.পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার: সেহরি ও ইফতারে প্রোটিন, শাকসবজি, ফলমূল ও পানীয় গ্রহণ করুন।
২.শরীরের অবস্থা বোঝা: যদি রোজার কারণে অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভূত হয় বা দুধের পরিমাণ কমে যায়, তাহলে আল্লাহর দেওয়া সুবিধা গ্রহণ করুন।
৩.বিশেষজ্ঞ পরামর্শ: ডাক্তার বা ইসলামি আলেমের পরামর্শ নিন।
ইসলাম সহজ দ্বীন। তাই মা ও শিশুর সুস্থতা রক্ষায় ইসলাম প্রদত্ত সুবিধা গ্রহণ করা উচিত।