অতিরিক্ত ওজনের জন্য আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানাবিধ সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই আমরা চাই বা খুঁজি খুব দ্রুত ওজন কমানোর নানান কৌশল। অনেকে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয়।
এটা সঠিক সমাধান নয়। কিছু কৌশল আর ব্যায়াম আছে যা বেশ দ্রুতই ওজন কমিয়ে দিতে সহায়তা করে।
আসুন জেনে নেই কৌশল সমুহ:
১.রাতের খাবারের ৪ ঘন্টা পর ঘুম
ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৪ ঘন্টা আগে খাবার খাবেন রাতে, এতে খাবারের অতিরিক্ত চর্বি ক্ষতি করবে না। রাতে জেগে থাকলে অল্প অল্প খাবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। রাতের খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েন না। এই অভ্যাসটি শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর। হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়। ফলে শরীরে মেদ জমে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৪ ঘন্টা আগে খাবার খাবেন।তাহলে ঘুমানোর আগেই হজম হয়ে যায়।
২.পাচঁফোড়ন সম্মিলিত মশলা
রান্নায় আমরা নানান রকম মশলা খেয়ে থাকি। তার মধ্যে বেশ কিছু পাঁচ ফোড়ন মশলা ওজন কমাতে সহায়ক। তারমধ্যে গোল মরিচ, আদা, দারচিনি ইত্যাদি মশলা ওজন কমাতে বেশ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে। ওজন কমাতে ও হার্ট ভালো রাখে।
৩.গ্রিন টি
গ্রিন টি ওজন কমাতে উপকারী। প্রতিটি দানায় রয়েছে মানুষের শরীরের ওজন কমাতে সহায়ক পলিফেনল ও কোরোজেনিক এসিড। তাই দৈনিক ২ থেকে ৩ কাপ গ্রিন টি পান করতে পারলে বছরে ১৫ কেজি পর্যন্ত ওজন কমানো যেতে পারে। আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটিসান দিয়েগোতে একটি সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে যে গ্রিন টি ওজন কমায়।
৪.ফজরের পর পরই ঘুম থেকে উঠুন
ওজন কমাতে হলে সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস গড়ে তোলা দরকার। সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারলে তা শরীরকে অনেক বেশি কর্মক্ষম করে, শরীরে বেশি ক্যালোরি ক্ষয় হয় ফলে ওজন কমে। এছাড়া সকালে ঘুম থেকে উঠে বাইরে থেকে কিছুক্ষণ হাঁটা যেতে পারে।
৫.পানি পান করুন পর্যাপ্ত
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা ওজন কমানো অন্যতম সহায়ক। পানি পানে শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায় এবং শরীর সহজে পুষ্টিগ্রহণ করতে পারে। পানি পান করলে শরীর থেকে দূষিত চর্বি জাতীয় পদার্থ বের হয়ে যায়। তাই ওজন কমাতে হলে পানি পানের কোন বিকল্প নেই।
৬.সরবত (লেবু-মধু):
ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস হালকা বা কুসুম গরম পানির সাথে দুই চা চামচ লেবুর রস ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খাবেন। লেবু-মধু পানীয় ওজন কমাতে দারুণ পদ্ধতি।
এছাড়া ওজন কমানোর জন্য কিছু ব্যায়াম বা খেলাধূলা
গ্রীষ্মকালের লম্বা দিন ও আবহাওয়ার উষ্ণতা – ওজন কমাবার যথার্থ সময়।
সাঁতার :
সাঁতার হল পুরো শরীরের জন্য একটি সুন্দর ব্যায়াম। নিয়মিত সাঁতার কাটলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আরো কর্মক্ষম হয়।সাঁতারের ফলে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫০ থেকে ৫৫০ পর্যন্ত ক্যালরি ক্ষয় হয় ।
শিখুন সাইকেল চালানো:
সাইকেল চালানোর ফলে পায়ের পেশির সংকোচন প্রসারণ হয় যা খুব ভাল ভূমিকা রাখে ওজন কমাতে। নিয়মিত সাইকেল চালালে হৃদপিণ্ড ভালো থাকে, ওজন বাড়ানোর প্রবণতাও তেমনও কমে যায়।
ভলিবল :
খেলার মধ্যে সব ধরনের খেলা গুরুত্বপূর্ণ তবে
ওজন কমাতে চাইলে ভলিবল খেলতে পারেন। ভলিবল একটি মজার এবং প্রতিযোগিতাপূর্ণ ওজন কমানোর কৌশল। ভলিবল খেলা ক্যালরি ক্ষয়ের সাথে সাথে হাত ও চোখের জন্য উপকারী।