আল্লাহ তাআলা মানুষকে তাঁর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। আবার মানুষের ইবাদত পদ্ধতিও তিনি বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। দৈনন্দিন জীবনে মানুষের সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রতিটি কাজই ইবাদত হিসেবে পরিগণিত হবে, যদি তা কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক হয়।
যারা আল্লাহ তাআলার নির্ধারিত বিধান পালনের পাশাপাশি হাদিসে বর্ণিত আমলগুলো নিয়মিত আদায় করবেন, তাদের জন্য জান্নাত সুনিশ্চিত। এমনই একটি আমল তুলে ধরা হলো-
উচ্চারণ : রাদিতুবিল্লাহি রব্বাও ওয়া বিল-ইসলামি দিনাও ওয়া বি-মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নাবিয়্যাও ওয়া রাসুলা। (মুসলিম, মুসনাদে আহমদ, তিরমিজি, মিশকাত)
অর্থ : ‘আমি আল্লাহকে প্রতিপালক হিসাবে, ইসলামকে দ্বীন হিসাবে এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নবি ও রাসুল হিসাবে পেয়ে খুশি হয়েছি। [এক হাদিসে এসেছে নবী হিসেবে পেয়ে খুশি, অপর হাদিসে এসেছে রাসুল হিসেবে পেয়ে খুশি।]
আমলটির ফজিলত
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি বলবে ‘আমি আল্লাহকে প্রতিপালক হিসেবে, ইসলামকে দ্বীন হিসেবে এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রাসুল হিসেবে পেয়ে খুশি হয়েছি। তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব।’ (মুসলিম)
হজরত ছাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় (ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর) নিয়মিত এই দোয়াটি তিনবার পড়বে; তাকে সন্তুষ্ট করা আল্লাহ তাআলার দায়িত্ব হয়ে যায়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর এ দোয়াটি নিয়মিত আমল হিসেবে গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। বিশ্বনবির ঘোষণা অনুযায়ী জান্নাত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।