banner

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 1433 বার পঠিত

 

যেসব স্থানে প্রস্রাব-পায়খানা করা উচিত নয়

মানুষের কষ্ট হয়ে, মানুষ মন্দ কথা বলতে বাধ্য হয় এমন সকল স্থানে প্রস্রাব পায়খানা করা উচিত নয়। চলার পথে, গাছের ছায়ায় সেখানে মানুষ বসে বিশ্রাম নেয় কিংবা পুকুর, ঝর্না, পানির হাউজ ইত্যাদি স্থানে প্রস্রাব-পায়খানা করা মাকরুহ। কারণ এতে করে সাধারণ মানুষের কষ্ট হয়। (আবু দাউদ) অনুরূপভাবে যেখানে বসে সাধারণ মানুষ গল্প করে সেখানেও প্রস্রাব-পায়খানা করা মাকরুহ। (ফাতহুল আযীয শরহে সুহাযাব ১:৪৬১)।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর অনুগ্রহ শুধু মানব জাতীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তিনি ছিলেন সারা জাহানের রহমত। তাই তার ছিলো সকল প্রকার সৃষ্টির মাঝেই দয়াপূর্ণ দৃষ্টি। এই জন্য তিনি যে কোনো ছিদ্রে প্রস্রাব-পায়খানা করতে নিষেধ করেছেন (আবু দাউদ) কারণ এতে ছিদ্রে বসবাসরত কীট-পতঙ্গের কষ্ট হবে। তা ছাড়া এর পরিণতি অনেক সময় মানুষকেও ভোগ করতে হয়।

ফলবান গাছের কাছেও প্রস্রাব করা নিষেধ (ফাতহুল আযীয ১.৪৬৫) কবরে এবং কবরের পাশে প্রস্রাব-পায়খানা করা মাকরুহ। মসজিদে প্রসাব-পায়খানা করা হারাম। যদি বিশেষ কোন পাত্রে করা হয় এবং মসজিদ নষ্ট না হয় তবুও (আল ফিকহুল ওয়া আদিল্লাতুহু ১.২০৬)। তবে বিশেষ প্রয়োজনে যদি ঘরে কোনো পাত্র রাখা হয় এবং তাতে প্রস্রাব- পায়খান করা হয় তাহলে সেটা জায়েজ আছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কাছেও অনুরূপ পাত্র রাখা থাকত (আল মুগনি, ১১০)।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অত্যন্ত জোর দিয়ে বলেছেন, স্থির পানিতে কখনও প্রস্রাব করবে না, (বুখারি) এর অর্থ এই নয় যে প্রবাহমান পানিতে প্রস্রাব করা যাবে। এর অর্থ হলো-বদ্ধ ও কম পানিতে প্রস্রাব করা হলে তা সর্বাবস্থায়ই নাপাক হয়ে যাবে। এই কারণে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে। বেশি পানিতে প্রস্রাব কারা মাকরুহ। আর যদি অধিক হারে প্রস্রাব করার কারণে পানির স্বাভাবিক স্বাদ, রঙ ও গন্ধ বিকৃত হয়ে যায় তাহলে অধিক পানিও নাপাক হয়ে যাবে। (আল মুগনি: ১:১০৮) অনুরুপভাবে গোসল খানাতেও প্রস্রাব পায়খানা করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন। (আবু দাউদ)।

Facebook Comments