banner

শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 1592 বার পঠিত

মসলার খোঁজ-খবর

nawshaba

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম: মসলা ছাড়া আমাদের এক দিনও চলে না। প্রায় প্রতিটি রান্নায়ই মসলার প্রয়োজন হয়। তবে ঈদের সময়ের প্রয়োজনটা একটু বেশিই বটে। যেহেতু এ সময় সবার ঘরেই বিশেষ আয়োজন, তাই মসলার প্রয়োজন বেড়ে যায়।

 

মসলা ছাড়া আমাদের এক দিনও চলে না। প্রায় প্রতিটি রান্নায়ই মসলার প্রয়োজন হয়। তবে ঈদের সময়ের প্রয়োজনটা একটু বেশিই বটে। এ ছাড়া ঈদে যেসব খাবার রান্না করা হয় সেগুলোর মধ্যে এমন আইটেম খুব কমই আছে, যেগুলোতে মসলা দিতে হয় না। মসলার এসব প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে আমাদের ছুটতে হয় মসলার বাজারে। তাই আসুন আগেভাগে জেনে নেয়া যাক বিভিন্ন রকম মসলার বাজারদর। ঝাল তরকারি মরিচ ছাড়া কল্পনাই করা যায় না। বাজারে এখন নানা ধরনের ঝালমরিচ পাওয়া যায়। যেমন- সূর্যমুখী, কামরাঙা, ধানী, গোল ও পাটনাই। প্রতি কেজি মরিচের দাম পড়বে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। তবে এখন মরিচগুঁড়া প্যাকেটেও পাওয়া যায়। প্যাকেটজাত মরিচের গুঁড়া একটু উন্নতমানের বলে দামটাও একটু বেশি পড়বে। ভেষজ-সমৃদ্ধ হওয়ায় ঘরোয়া ওষুধ ও রান্নাবান্নায় ব্যবহার হয়ে আসছে হলুদ। স্বাদ ও রঙের বৈচিত্র্যে হলুদ সাধারণত দুই রকমের হয়ে থাকে। গাঢ় ও হালকা রঙ। রাঁধুনি, পিওর, প্রমি, টাইগার, রানীসহ আরো বেশ কিছু উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এখন প্যাকেটজাত হলুদও বিক্রি করে। ধনের উৎপাদন সর্বপ্রথম শুরু হয় মরক্কোতে। তখন এটি সম্পর্কে আমাদের মানুষ ততটা জানত না, ব্যবহারও করত না। কিন্তু এখন এর ব্যবহার বেড়ে গেছে সবখানেই। কারণ তরকারির রঙ, গন্ধ ও স্বাদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে ধনের জুড়ি নেই। ১০০ গ্রাম ওজনের ধনের প্যাকেট পাওয়া যাবে ২৫ টাকায়। পেঁয়াজের দাম কখনো বাড়ে কখনো কমে। এমনকি বাজারের ভিন্নতার জন্যও পেঁয়াজের দাম ভিন্ন ভিন্ন হয়। তবে সাধারণভাবে প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজের দাম পড়বে ৪৫ টাকা। প্রতি কেজি রসুন পাওয়া যাবে ৮৫ টাকায়। আর আদার কেজি পড়বে ২৭৫ টাকা। এবার আসা যাক গরম মসলার দরদাম প্রসঙ্গে। গরম মসলার দাম এখন অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। গত ঈদের তুলনায় এই ঈদে কোনো কোনো গরম মসলা বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ, তিন গুণ দামে। এলাচ ১০০ গ্রাম ২৫০ টাকা, জিরা ১০০ গ্রাম ৫৮ টাকা, লবঙ্গ ১০০ গ্রাম ২২০ টাকা, গোলমরিচ ১০০ গ্রাম ১৩০ টাকা, দারুচিনি ১০০ গ্রাম ৪০ টাকা, মহুরি ১০০ গ্রাম ২৫ টাকা। এ ছাড়াও রয়েছে জায়ফল, জয়ত্রী, পোস্তদানা, তেজপাতা, শাহী জিরা ইত্যাদি। এগুলো তোলা হিসাবে কিনলে দামে কম পড়বে।

 

কোথায় পাবেন : প্রয়োজনীয় মসলা পাওয়ার জন্য তেমন কোনো খোঁজাখুঁজির দরকার হয় না। এগুলো ঢাকা শহরের যেকোনো মুদির দোকানেই পাওয়া যায়। তবে নিউমার্কেটসহ কিছু কিছু মার্কেটে আলাদা মসলার দোকানই রয়েছে। এসব দোকানে দেশী খাবার তৈরির মসলার পাশাপাশি বিদেশী খাবার তৈরির মসলাও পাওয়া যায় সুলভমূল্যে। আবার কিছু কিছু দোকান আছে, যারা সরাসরি গ্রাম থেকে মসলা সরবরাহ করে থাকে। এসব মসলার স্বাদ-গন্ধ অন্য যেকোনো মসলার চেয়ে উন্নত হয়। আর এগুলো সাধারণত পুরান ঢাকার দোকানেই বেশি পাওয়া যায়। তবে যেখান থেকেই মসলা কেনা হোক না কেন, বিশ্বস্ত দোকান থেকে কেনা উচিত। এতে মসলায় ময়লা কিংবা ভেজাল থাকার আশঙ্কা কম থাকে।

 

কিছু পরামর্শ : এখনো ঈদ আসতে বেশ কয়েক দিন বাকি। তাই এখন মসলা কিনলে সেটা ঘরে সংরণ করে রাখতে হবে। এমনিতেও মসলা একবার কিনে নিলে অনেক দিন চলে যায়। মসলার ক্ষেত্রে সব সময়ই যে সমস্যাটি দেখা দেয়, সেটি হলো কিছু দিন পরই এটা নষ্ট হয়ে যাওয়া। তবে একটু সচেতন হলে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। মসলা পরিষ্কার ও শুকনো পাত্রে রাখতে হবে। আর ঢাকনা কিংবা মুখটাকে এমনভাবে বন্ধ করবেন যাতে বাতাস প্রবেশ করতে না পারে। আলোহীন এবং ঠাণ্ডা স্থানে রাখুন। চুলার পাশে এবং খোলামেলা র‌্যাকে রাখবেন না। আদা বা এই জাতীয় মসলা দীর্ঘ দিন স্বাদ এবং ঘ্রাণযুক্ত রাখতে ফ্রিজে রাখা যেতে পারে। মাচার ওপরও ছড়িয়ে রাখতে পারেন। কেউ কেউ অনেক দিনের জন্য মসলা সংরণ করতে গিয়ে সেটি রোদে শুকিয়ে নেন। মনে রাখবেন গরম মসলা রোদে শুকাতে দিলে স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। তাই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। লঙ্কা গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, ধনে গুঁড়া শুকনো তাওয়ায় ভেজে সংরণ করুন। এতে বেশি দিন তাজা থাকবে। বাটা মসলা সংরণ করতে হলে ওপরে অল্প লবণ ছড়িয়ে সংরণ করুন। এতে অনেক দিন ভালো থাকবে। যেসব মসলায় পোকামাকড়ের আক্রমণ হওয়ার ভয় থাকে সেগুলোর পাশে কয়েকটা নিম পাতা রেখে সংরণ করুন। নিমপাতা আপনার গরম মসলাকে অনেক দিন ধরে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে নিরাপদ রাখবে।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/২৪ জুল‍াই ২০১৪ই.

Facebook Comments