banner

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 269 বার পঠিত

 

মধ্যবয়সেও তারুণ্য

বিয়ের বছর খানেক পর শখ করে হয়তো একটি শাড়ি কিনেছিলেন। অনেক দিন পর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে গায়ের ওপর মেলে ধরতেই মনটা খারাপ হয়ে গেল। কারণ, তখনকার ছিপছিপে গড়ন আর নেই। মুখের বলিরেখাগুলোও যেন একটু আগেভাগে হাজির হয়েছে। এখন কি আর সেই শাড়িতে মানাবে? মধ্যবয়সী নারীদের জীবনের খুব পরিচিত চিত্র এটি। তবে, বিপরীত উদাহরণও দেখানো যাবে। নিয়মমাফিক জীবন, নিজের প্রতি ভালোবাসা, পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় মাঝবয়সের পরিবর্তনগুলোর সঙ্গে অনেকেই সহজে মানিয়ে নিতে পারেন। বয়স যে কেবল একটি সংখ্যা, তা কিন্তু কথার কথা নয়। সত্যিকার অর্থেই বয়স যা-ই হোক না কেন, তারুণ্যের বাস মানুষের মনের মধ্যেই।

এই বয়সে এসেও পছন্দমতো পোশাক পরা যাবেহরমোনের পরিবর্তনের ওপর নেই কারও নিয়ন্ত্রণ। কিন্তু নিজের জীবনযাপনের ওপর তো আছে। কুড়িতেই বুড়ি—এ ধরনের প্রচলিত কথাকে বুড়ো আঙুল দেখাতে হলে সবার আগে প্রয়োজন মনোবল। মাঝবয়সে এসে বেশির ভাগ নারীই আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। চামড়ায় ভাঁজ পড়ে গেছে, চুল পড়ে যাচ্ছে, সাজগোজ করে আর কী হবে?—এমন ধারণা মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। আয়ুর্বেদিক রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা মনে করেন, প্রতিটি বয়সেরই একটি আলাদা সৌন্দর্য আছে। আর তার চেয়েও বড় কথা, নিজের সৌন্দর্য নিজের কাছে। বললেন, ‘নিজের সাজসজ্জা অন্যের জন্য নয়।’ রাহিমা সুলতানা নিজে এই মধ্যবয়সে এসেও নিজের পছন্দমতো সাজেন, ইচ্ছা হলে খোঁপায় ফুল গুঁজে নেন। যেমন পোশাকে মানায় তেমন পোশাক পরেন। এই কথাগুলো তিনি বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই জানালেন। নারীর জীবনে ঠিক এই আত্মবিশ্বাসেরই প্রয়োজন।
কথা হলো মধ্যবয়স অর্থাৎ চল্লিশ পেরোনো কয়েকজন নারীর সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গে আলাপ করে বোঝা গেল, মাঝবয়সেও সুস্থ, সতেজ থাকতে চাইলে শরীরকে ফিট রাখতে হবে। ত্বক সতেজ রাখতে রূপচর্চা করতে হবে। তার সঙ্গে সুষম ডায়েটের প্রয়োজনীয়তার কথাও বিশেষভাবে উঠে এসেছে।

ভালোবাসুন নিজেকে
নারী গৃহিণী হতে পারে, কর্মজীবী-পেশাজীবীও হতে পারে। দুই ক্ষেত্রেই চল্লিশের ঘরে পৌঁছে গেলে নারীকে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়। পেশাজীবনে কাঁধে এসে পড়ে নানা গুরুভার। সংসারের দেখভাল, সন্তান লালন-পালন আর বাড়তি সামাজিক কর্তব্য তো আছেই। সব দিক সামলাতে গিয়ে নারী নিজের প্রতিই হয়ে ওঠে সবচেয়ে অমনোযোগী। অথচ মানসিক ও শারীরিক পরিবর্তনের জন্য এই সময়টাতেই তার প্রয়োজন বাড়তি যত্ন। এই বিষয়ে কথা হচ্ছিল বারডেম হাসপাতালের পুষ্টি বিভাগের প্রধান আখতারুন নাহার আলোর সঙ্গে। ‘সবাইকে ভালো রাখতে হলে আগে নিজেকে ভালো থাকতে হবে।’ এভাবেই কথা শুরু করলেন তিনি।
নারীর শরীরের একটা বড় পরিবর্তন আসে মা হওয়ার পর। গর্ভকালীন খাদ্যাভ্যাসের যে পরিবর্তন আসে, তাতে সঠিক সময় লাগাম দিতে হবে। আখতারুন নাহারের পরামর্শ অনুযায়ী সন্তান জন্মের কয়েক মাস আগে থেকে সন্তান জন্মের ছয় মাস পর পর্যন্ত নারীকে অনেক বেশি আমিষ ও ক্যালরি গ্রহণ করতে হবে। সন্তান বুকের দুধ ছেড়ে দিলেই ফিরে যেতে হবে পুরোনো সেই পরিমিত খাদ্যাভ্যাসে। তাহলেই শরীরের স্বাভাবিক গঠন ধরে রাখা যাবে। তবে, অনেক সময় হরমোনের পরিবর্তনের জন্যও স্বাস্থ্য বাড়তে থাকে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

এই বয়সে খাবারদাবার
রাজধানীর ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ ও বারডেম জেনারেল হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সামসাদ জাহান বলেন, সন্তান জন্মের পর তাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মায়ের শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম বের হয়ে যায়। আবার মেনোপোজের পর ইস্ট্রোজেন হরমোনের নিঃসরণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্যও দেহ আর আগের মতো ক্যালসিয়াম শোষণ করতে পারে না। ফলে হাড় ক্ষয় হতে থাকে। মাঝবয়সে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। অবশ্য, সুষম খাদ্য ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করে এসব রোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে দেহে আয়রনের ঘাটতিও দেখা দেয়। এ ছাড়া চল্লিশ পেরোলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধিও পেতে পারে। পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী, কায়িক শ্রম কম করলে এই বয়সে খাদ্যতালিকায় ক্যালরির পরিমাণ একেবারে কমিয়ে আনতে হবে। শর্করা ও তেলযুক্ত খাবার নামমাত্র খেয়ে আমিষজাতীয় খাবারের পরিমাণ পর্যাপ্ত রাখুন।
খেতে হবে—
* ·মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, দই, বাদাম।
* ক্যালসিয়াম পাওয়া যাবে ডাল, শুঁটকি মাছে।
* খেতে হবে ভিটামিন ডি। দুধ, সামুদ্রিক মাছ, ডিম থেকে এটি পাওয়া যায়। সকাল ৯-১০টার দিকে সূর্যের যে আলো আসে, তা শরীরে লাগালেও ত্বকের নিচেই ভিটামিন ডি উৎপন্ন হয়।
* কচুশাক, লালশাক, কলমিশাক, পুদিনা পাতা থেকে মিটবে আয়রনের ঘাটতি।
* আয়রনকে শোষণ করতে দরকার ভিটামিন সি। লেবু ও টক ফলে পাওয়া যাবে এই ভিটামিন। এ ছাড়া প্রতিদিন একটি আমলকী ভিটামিন সি-এর চাহিদাই কেবল পূরণ করে না, একে বলা হয় অকালবার্ধক্য রোধক। ত্বক, চুল আর দাঁতের জন্যও এটি ভালো।
* দুধ খেলে যদি সমস্যা হয়, তাহলে সয়াবিন দুধ, সয়া নাগেট, সয়াবিনের বীজ থেকে ক্যালসিয়াম নিন।
* ডায়াবেটিস না থাকলে প্রচুর ফল খেতে হবে। যদি থাকে, তাহলেও নিয়ম অনুযায়ী রোজ কিছু না কিছু ফল ও টাটকা শাকসবজি খাবেন।

 

চল্লিশ পার হলেই কি বন্ধ হয়ে যাবে সাজগোজ?মন থাকুক ফুরফুরে

দেহ সুস্থ থাকলে মনও ভালো থাকে। বয়স বেড়ে চলেছে—এই চিন্তাকে উড়িয়ে দিয়ে জীবনটা উপভোগ করুন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কোথাও ঘুরতে বেরিয়ে যান। মন চাইলে প্রিয় বান্ধবীর সঙ্গে সন্ধ্যায় হাঁটতে বেরিয়ে একটু ফুচকা খেয়ে আসুন। ছুটির দিনে কোনো ভালো সিনেমা দেখে আসুন।পছন্দের লেখকের বই পড়ুন। সংসারের ঘানি টানার ফাঁকেই নিজের জন্য এই সময়টুকু বের করে নিতে পারলে ভালো।

এ সময় বেশির ভাগ নারীর মনেই বিষণ্নতার মেঘ জমে। অনেকে নিজেকে অপ্রয়োজনীয় ভাবতে শুরু করেন। এমন ধারণা যদিও ভ্রান্ত। তবে এমনটা ভাবার কিছুর কারণও আছে। এসব বিষয়ে রাহিমা সুলতানা বেশ খোলামেলা আলোচনা করেছেন। মেনোপোজের সময় যখন এগিয়ে আসতে থাকে, তখন হরমোনের নানা রকম পরিবর্তন হয়। মেনোপোজ হয়ে গেলে শারীরিক কিছু পরিবর্তনের জন্য কারও কারও দাম্পত্য জীবনের সুখও বিঘ্নিত হয়। নারীর মেজাজ তখন খিটমিটে থাকে। একসময় চামড়া কুঁচকে যাওয়া, চোখের নিচে কালি পড়া আর চুল পেকে যাওয়ায় সে নিজেকে অসুন্দর মনে করতে শুরু করে।

এই সময় সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে স্বামীকে। স্ত্রীকে ভালোবাসতে হবে। তাঁর মনে সাহস জোগাতে হবে। সন্তানদেরও এ সময় দায়িত্ব আছে। মাকে এ সময় বেশি সঙ্গ দিতে হবে। সাদামাটা পোশাক উপহার না দিয়ে রঙিন পোশাক পরতে তাঁকে উৎসাহিত করতে হবে।

হাসিখুশি থাকা, কিছুক্ষণের জন্য আড্ডা দেওয়া, ঘুরে বেড়ানো, বাইরে বন্ধুদের সঙ্গে খাওয়ার মতো কাজগুলোও করা চাইডিজাইনার মাহিন খান মনে করেন, সুন্দর আর রঙিন পোশাক পরলে মনটা বেশ ফুরফুরে লাগে। বয়স যেন তখন কয়েক বছর কমে যায়! খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চা করে ফিট থাকতে পারলে মধ্য বয়সেও স্টাইলিশ পোশাক পরা যাবে। এই বয়সে কামিজের কাটছাঁটে বৈচিত্র্য আনতে পারেন। শাড়ি আর ব্লাউজের মধ্যে একটির রং হালকা হলে অন্যটি গাঢ় দেখে বেছে নিন। পশ্চিমা ঘরানার পোশাকে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করলে তা-ও পরতে পারেন।
তবে, জীবনের এই পর্যায়ে এসে সমাজ ও পরিবারের কাছে ব্যক্তির একটি ভাবমূর্তি তৈরি হয়ে যায়। সেটাকে ভেঙেচুরে একেবারে নতুন কিছু করার চেষ্টা না করাই ভালো। এই বয়সে ফ্যাশন ধারণা হওয়া চাই পরিপক্ব। এমন মত রূপবিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খানের।
এ বয়য়ে ফ্যাশন নিয়েও মনে কিছু দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাজ করে। ডিজাইনার শাহরুখ আমিন বলেন, ‘বয়স বাড়তে থাকলে চামড়ায় ভাঁজ পড়তে শুরু করে, চুলের রঙেও আসে পরিবর্তন। এ সময়টায় তাই সাজপোশাক একটু বুঝেশুনে পরা উচিত। তাই বলে মধ্যবয়সীরা যে ফ্যাশন করতে পারবেন না বা তাঁদের হালকা রংই সব সময় বেছে নিতে হবে, তেমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই।
এই বয়সে টকটকে বা ফ্লোরোসেন্ট রংগুলো এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন তিনি। তবে গাঢ় রঙের লিপস্টিক চলতে পারে। এ ছাড়া এই বয়সে বেশির ভাগেরই শরীর কিছুটা মুটিয়ে যায়; এটাও মাথায় রাখতে হবে। উদাহরণ টেনে শাহরুখ আমিন বলেন, মসলিন শাড়ি যেমন এখন খুব চলছে। কিন্তু এটি ভীষণ পাতলা হয়। মাঝবয়সী নারী মসলিনের বদলে জামদানি পরতে পারেন, এতেও কিন্তু কম সুন্দর দেখাবে না। ব্লাউজের কাটছাঁট বা প্রিন্টে বৈচিত্র্য নিয়ে এলে আপনার উপস্থিতিটা হবে আরও নজরকাড়া।
অবশ্য মাঝবয়সেও যদি কেউ ছিপছিপে শরীরের অধিকারী হন তাহলে শিফন, নেট, মসলিন শাড়ি পরা যেতেই পারে। পালাজ্জো বা স্ট্রেট কাট প্যান্টের সঙ্গে লম্বা কুর্তা, কামিজ—সবই চলতে পারে।

নির্ভর করে ব্যক্তিত্বের ওপর

বড় কথা হলো কে কেমন পোশাক পরবেন, সেটি সম্পূর্ণ নির্ভর করবে তার ব্যক্তিত্বের ওপর। পেশা ও জীবনযাপনের ধরনও এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। অভিনেত্রী কুমকুম হাসান যেমন ৫৫ বছরে পা দিয়েও ফ্যাশনে তারুণ্য ধরে রেখেছেন। তিনি বলেন, ‘স্টাইল করি কিন্তু অমার্জিত কিছু পরি না কখনোই। স্লিভলেসও পরি। তবে, সেটা দেখতে যেন খারাপ না লাগে নিজেকে সেভাবেই উপস্থাপন করার চেষ্টা করি সব সময়। বয়স হয়ে গেছে বলে যে ফ্যাশনের বর্তমান চল অনুসরণ করতে পারব না, সেটা একদম মনে করি না।’ কুর্তা, পালাজ্জো প্রায়ই পরেন তিনি। খুব আঁটসাঁট না পরে একটু ঢিলেঢালা পোশাক পরার পক্ষে এই অভিনেত্রী। একদম হালকা রং আর সব সময় ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করেন।

করতে পারেন যোগব্যায়ামরূপ সচেতনতা
বাইরের লেবাসে তারুণ্য আনার আগে মনটাকেও তো প্রফুল্ল রাখতে হবে। রোজ এক ঘণ্টা হাঁটা, নিয়ম মেনে শরীরচর্চা, যোগব্যায়াম ও মেডিটেশন করলে মন হালকা লাগবে। মন ভালো থাকলে চেহারায় ক্লান্তির ছাপ দূর হয়ে ভেতরের সৌন্দর্য ফুটে উঠবে। ত্বকের যত্নে কয়েকটি ফেস প্যাকের প্রণালি দিয়েছেন রাহিমা সুলতানা—
* একটি কলা, একটি ফেটানো ডিম, ১ চা-চামচ মধু, ১ চা-চামচ লেবুর রস ও ১ চা-চামচ গ্রিন টি পাউডার মিশিয়ে ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
* ১ চামচ আমলকী বাটা, আধা চামচ ধনে গুঁড়া, ১ চামচ নিম পাতা বাটা, আধা চামচ চন্দন গুঁড়া ও ২ চামচ গোলাপজলের মিশ্রণ প্রস্তুত করে তা মুখে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটিও ১৫ মিনিট রাখতে হবে।
* কাঁচা হলুদ বাটা ও আঙুরের রস ১ চামচ ও টমেটোর রস ২ চামচ মুখে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
* পাকা পেঁপের রস, গুঁড়া দুধ ও গোলাপজল এক চা-চামচ। চন্দন গুঁড়া আধা চা-চামচ ও আলুর রস দুই চামচ একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

চুলের পরিচর্যায়—
* লেবুর রসের সঙ্গে ত্রিফলার চূর্ণ মিশিয়ে সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করলে চুলের গোড়া শক্ত হয় ও চুল দ্রুত বাড়ে। এই মিশ্রণটি ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখার পর চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।

* পেঁয়াজ ও জবা ফুলের মিশ্রণ চুল গজাতে সাহায্য করে।

* সমপরিমাণ পেস্তা বাদামের তেল, লেবু ও আমলকীর রস নিয়মিত চুলের গোড়ায় মালিশ করলে চুল পাকার হার কমে যায়।

* এ ছাড়া চুলে নিয়মিত নিম পাতার তেল ব্যবহার করলেও চুল পেকে যাওয়াসহ অনেক সমস্যা রোধ হয়।

মেনে নিতেই হবে, পঁচিশে যা ছিলেন, পঞ্চাশে এসে তার অনেক কিছুই হয়তো হারিয়ে যাবে। তবে এই বয়সে পৌঁছানোর পথে যে অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়েছে, সেগুলোকে ইতিবাচকভাবে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। খেয়াল করলেই বুঝবেন, নিজে সতেজ থাকলে অন্যদের দিকেও খেয়াল রাখা হবে খুশিমনে।

Save

Save

Facebook Comments