প্রকৃতিও তার শূন্যতাটা টের পেয়ে গেছে গতকাল থেকেই! না হয় কেন গতকাল থেকেই আকাশটা আপন মনেই কেঁদে যাবে? আর আজ ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি উপেক্ষা করেই কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা লাকী আখন্দকে শেষ শ্রদ্ধা জানাত কেন্দ্রী শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে নেমেছে তারকা শিল্পী ও সাধারণ মানুষের ঢল।
এদিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাকী আখন্দকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়েছে। সেখানেই তাঁকে পুলিশের একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার দেয়। আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে লাকী আখন্দের মরদেহ শহীদ মিনারে নিয়ে আসা হয়। এর আগে সকাল ১০টায় পুরান ঢাকার আরমানিটোলা মাঠে লাকী আখন্দের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
লাকী আখন্দকে শ্রদ্ধা জানাতে এসে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘তার গান এ দেশের মানুষ মনে রাখবে। এই বীরমুক্তিযোদ্ধা-শব্দসৈনিক আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল। তার কন্যাকে বলতে চাই, আমাদের পক্ষ থেকে যা করণীয়, সেটা করবো। আপনাদের কোনও প্রত্যাশা থাকলেও জানাবেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা ও আমার বন্ধু লাকীর জন্য যা করণীয় আমি করব। কথা দিলাম।’
এছাড়া শহীদ মিনারের মরদেহ রাখা হবে বেলা ১টা পর্যন্ত। বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা শেষে নিয়ে যাওয়া হবে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে। সেখানেই লাকী আখন্দকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।
টানা আড়াই মাস হাসপাতাল জীবন শেষে গত সপ্তাহে আরমানিটোলার নিজ বাসায় ফিরেছিলেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লাকী আখন্দ। ২১ এপ্রিল দুপুর নাগাদ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। সন্ধ্যার আগে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ কর্তব্যরত চিকিৎসক লাকী আখন্দকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল প্রায় ৬১ বছর।