নারী সংবাদ
যশোরের চৌগাছায় মেহেদীর রং হাতে নিয়েই লাশ হলেন লতিফা খাতুন (২০) নামে এক নববধূ। বিয়ের মাত্র সাত দিনের ব্যবধানে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। লতিফার পরিবারের দাবি তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাঁচ বাড়ীয়া গ্রামে।
এ ঘটনায় লতিফার বড় ভাই ইনতাজ আলী বাদী হয়ে মহেশপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
জানা যায়, গত ১৬ ডিসেম্বর উপজেলার জামিরা গ্রামের ওয়াজেদ আলীর কন্যা লতিফা খাতুনকে (২০) পাশের ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়নের পাঁচবাড়িয়া গ্রামের তোরাব আলীর ছেলে রাজু আহমেদের সাথে বিয়ে হয়। ২৩ ডিসেম্বর রাতে তার শ্বশুরবাড়ির একটি ঘরে লতিফার লাশ ঝুলে থাকতে দেখা যায়। এ খবর পেয়ে মহেশপুর থানা পুলিশ তার লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহে পাঠায়।
লতিফার বড় ভাই ইনতাজ আলী বলেন, বিয়ের পর থেকেই ছেলের পরিবারের পক্ষ থেকে মোটা অংকের যৌতুকের টাকা দাবি করা হয়। আমরা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তারা আমার ফুলের মতো ছোট বোনকে হত্যা করেছে। এ ঘটনার রাত থেকেই রাজুর পরিবারের সবাই পলাতক রয়েছে।
এদিকে ময়না তদন্ত শেষে চৌগাছা উপজেলার জামিরা গ্রামে বাপের বাড়ি লতিফার দাফন করা হয়।
এ মামলার তদন্তকারী অফিসার মহেশপুর থানার এস আই শামীম হোসেন বলেন, লাশের ময়না তদন্তের রির্পোট হাতে পেলেই বলা যাবে এটা হত্যা, না আত্মহত্যা।
এ ব্যাপারে মহেশপুর থানার ওসি রাশেদুল আলম বলেন, আমরা মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় লতিফার বড় ভাই ইনতাজ আলী বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সুত্রঃ নয়াদিগন্ত।