সম্পর্ক স্থাপন করলেই হয় না। এর যত্ন নিতে হয়। তাই বিয়ের মাধ্যমে সম্পর্কের পরিণতি টানার আগে বেশ কিছু বিষয় জেনে রাখা ভালো। এখানে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন সামাজিক বিজ্ঞানের এ-সংক্রান্ত গবেষণা থেকে প্রাপ্ত কিছু তথ্য।
১. বিয়েতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে যদি ২৩ বছর বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা করেন তবে সম্পর্কে বিচ্ছেদের সম্ভাবনা কমে আসে। ২০১৪ সালে ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভেনিয়ার গবেষণায় বলা হয়. যারা ১৮তেই বিয়ে করে ফেলেন তাদের ৮০ শতাংশেরই বিচ্ছেদ ঘটে। কিন্তু বিয়ের জন্য ২৩ পর্যন্ত অপেক্ষা করলে বিচ্ছেদের ঘটনা ৩০ শতাংশে নেমে আসে।
২. বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমায় ভালোবাসার আদান-প্রদান এবং তার রেশ একবছর পর্যন্ত বিরাজ করে। চরম আকর্ষণ আর আকাঙ্ক্ষা এ সময় পর্যন্তই থাকে। এরপর থেকে তা কমে আসতে থাকে বলে জানান মনমাউথ ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানী গ্যারি ডাব্লিউ লিওয়ানডোস্কি জুনিয়র।
৩. অবশেষে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনি আর একা নন। দুজন একসঙ্গে বসবাস শুরু করবেন। সেখানে অবশ্য আপনার ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা থাকবে। কাজেই কিছু বিষয় নিয়ে সমস্যা হতেই পারে।
৪. সঙ্গী-সঙ্গিনীর ভালো খবরে যখন আপনি সত্যি সত্যিই উত্তেজিত পড়বেন, তখন বন্ধন আরো দৃঢ় হবে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যে দম্পতিরা প্রত্যেকের ভালো খবরটি উদযাপন করেন তারা অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি সুখী হয়ে থাকেন।
৫. বন্ধুত্বের মাধ্যমে সবচেয়ে সুখী দাম্পত্য জীবন গড়ে উঠতে পারে। ২০১৪ সালে ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক্সের গবেষণায় বলা হয়েছে, বিয়ে ও তৃপ্তিকর জীবনের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অতি জরুরি।
৬. দুজনের বয়স যত কম বিচ্ছেদের ঘটনা তত কম। ইমোরি ইউনিভার্সিটির গবেষণায় বলা হয়েছে, বয়সে ৫ বছরের পার্থক্য যাদের তাদের বিচ্ছেদের সম্ভাবনা অন্যদের চেয়ে ১৮ শতাংশ বেশি থাকে। আর এ পার্থক্য ১০ বছর হলে সম্ভাবনা ৩৯ শতাংশে লাফ দেয়।
৭. দুজনের সম্পর্কে অপমানবোধ ছোটখাটো ঝামেলার ইতি ঘটায় না। আর সম্পর্কে এসব খুঁটিনাটি বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন ৬০ শতাংশ আমেরিকান। কাজেই এসব বিষয়ে মন দিতে হবে।
সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট
Facebook Comments