ফাতিমা মারিয়াম
-বাবারে, মানুষ যেসব কথা বলে সেগুলো আর শুনতে ভালো লাগে না! তুই এবার বউমার বিষয়টা ভালো করে মিটিয়ে ফেল।
-কি বলছ তুমি মা?
-ঐ যে তোর বন্ধুর ছোট ভাইটা আসে না? ওর সাথে বৌমার মেলামেশা কেউ ভালো নজরে দেখে না! আর বিষয়টা কেমন লাগে? একটা পর পুরুষ প্রতিদিন তোর বাসায় আসে!
-মা তোমরা যা ভাবছ আসলে বিষয়টা তা নয়। পরিচিত মানুষ তাই বাসায় আসে।
-তুই যখন বাসায় থাকিস না তখন আসার দরকার কি? আগেতো এই বিষয়টা শুধু তোর বাসাতেই সীমাবদ্ধ ছিল। এখন গ্রামের আত্মীয় স্বজনরাও জেনে গেছে আমরা গ্রামে মুখ দেখাতে পারিনা! মানুষের মুখতো আর বন্ধ রাখতে পারিনা!
-বাদ দাও তো মা এসব কথা। তোমার বৌমা সংসারের জন্য কত কষ্ট করে দেখ না? বাচ্চাদের স্কুল, কোচিং এ আনা নেয়া, ওদের দিকে খেয়াল রাখা সবতো ও-ই করে, না?
-এসব তো সব মা-ই তার বাচ্চার জন্য করে, তাই বলে তুই বউকে এইভাবে চলার ব্যাপারে কিছুই বলবি না?
-মা আমি সেই সকালে অফিসে যাই, সন্ধ্যার পরে ফিরি সারাদিন ওকে একা একা কত কাজ করতে হয়, কত জায়গায় যেতে হয়, সাথে একজন কেউ থাকলে ওর জন্যই তো সুবিধা, তাই না? এসব কথায় কান দিও না।।
এইভাবে কিছু মানুষ জেনেও না জানার ভাণ করে, দেখেও না দেখে পরকীয়া নামক বিষবৃক্ষ রোপণ করে যায়।