স্টাফ রিপোর্টার
ফেব্রুয়ারি ১ তারিখ দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার ‘বিশ্ব হিজাব দিবস’। ‘Better Awareness. Greater Understanding. Peaceful World’ স্লোগানে উজ্জীবিত হয়ে এবার এই দিবসটি পালিত হয়েছে।
‘হিজাব’ মুসলিম নারীর ধর্মীয় বিধিবিধানের গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক অংশ।
২০১৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো এই দিবস পালন করা শুরু হয় এর পর থেকে এ পর্যন্ত ১৯০টি দেশের নারীরা এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।
বিশ্ব হিজাব দিবসের নেপত্যে আছেন ‘নাজমা খান’ বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত । তার উদ্যোগেই এই দিবসের প্রচলন শুরু হয় ২০১৩ সালে।
মুলত বিশ্ব হিজাব দিবস পালনের মুল উদ্দেশ্য ইভেন্ট আয়োজকদের হচ্ছে, হিজাব পরিধানের অভিজ্ঞতা শেয়ারের মাধ্যমে সব ধর্ম এবং ব্যাকগ্রাউন্ড নারীদের হিজাব পড়তে উৎসাহিত করা। অ-মুসলিম এবং মুসলিম সকল নারীজাতি হিজাব পরিধান করে তার অভিজ্ঞতা অর্জন করার সুন্দর সুযোগ আছে।
চলমান পরিস্থিতিতে ধর্মীয় সম্প্রীতির ব্যাপারটিকে আরো বেগবান করার অভিপ্রায়ে যারা মুসলমান নন, তাদেরও এদিন হিজাব পরার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আল কুরআনে “হিজাব” শব্দের শাব্দিক অর্থ ‘পর্দার প্রতিনিধিত্ব’। পর্দা শব্দটি দিয়ে মুলত শালীনতা ও গোপনীয়তার প্রতীক রূপে ব্যবহৃত হয়।
ওয়ার্ল্ড হিজাব ডে অর্গানাইজেশনের এই প্রতিষ্ঠাতা বলছেন, তারা একদিন আমার মতো করে চললে বুঝতে পারবে- আমার ও তাদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। বরং ওই একদিনের কারণেই তারা হয়তো হিজাবকে অন্য আলোকে দেখতে সক্ষম হবে।
আল জাজিরাকে প্রশ্নে তিনি আরও বলেছেন, আমি যদি মাথায় হ্যাট পড়ি, আমাকে কেউ কিছু বলতে আসছে না, টেনে চুল বাঁধলাম বা খোলা রাখলাম বা বেনী করলাম- কেউ কিছু বলতে আসছে না, তাহলে কেন হিজাব পরার জন্য কোনো মেয়েকে কিছু বলা ঠিক হবে?
দিবসটি উপলক্ষে বিশ্বের নানা প্রান্তের মুসলিম মহিলারা সামাজিক মাধ্যমে হিজাব ব্যবহারের উপকারিতা নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন।
হিজাব পরিধানের ব্যাপারে একটি কলেজের প্রভাষক আফরীন তাসলিমা (কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট) বলেছেন, সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর আদেশ মানার জন্য ও তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য।
বাংলাদেশ থেকে ফাতিমা মারিয়াম নামে একজন অনলাইন এক্টিভিস্ট বলেছেন, ‘আল্লাহর হুকুম তাই হিজাব করি। সুরা নুর আর সুরা আহযাবের দুটি আয়াতে উল্লেখ আছে। নারীদের পর্দার বিধান সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, এই বিধান তোমাদের ও তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ (সূরা আহজাব : ৫৩)
আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। সূরা নূরে বলা হয়,
(হে নবী!) মুমিন নারীদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে ও তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। তারা যেন সাধারণত যা প্রকাশ থাকে তা ছাড়া নিজেদের আবরণ প্রদর্শন না করে (সূরা নূর : ৩১)।’
সিয়েরালিয়ন থেকে হাওয়া নামে এক মহিলা লিখেছেন,
‘হিজাব’ শুধু মাথা ঢেকে রাখার কাপড় নয়। এটা পর্দা রক্ষা করতে সহায়ক। আমাদের হাতের নখ ও লিপইস্টিকের রঙ দিয়ে মূল্যায়ন করলে চলবে না।’