৭ এপ্রিল, রোববার—বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। প্রতি বছরের মতো এবারও বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এই দিনটি পালিত হচ্ছে। ২০২৫ সালের প্রতিপাদ্য— ‘জন্ম হোক সুরক্ষিত, ভবিষ্যৎ হোক আলোকিত’—এই স্লোগানে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশুস্বাস্থ্যের উপর।
বাংলাদেশে এ উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য খাতে কাজ করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও সচেতনতামূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক বাণীতে বলেন, গণ-আন্দোলন পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকার নারীদের নিরাপদ মাতৃত্ব এবং শিশুদের সঠিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। তিনি উল্লেখ করেন, মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হারের বর্তমান চিত্র এখনো উদ্বেগজনক, যা আমাদের উন্নয়নের পথে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েছে। এজন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ২০২৫ সালে মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্যের উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। তাদের লক্ষ্য, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG)-র আওতায় ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।
এদিকে, স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং সুশীল সমাজের অংশগ্রহণে দেশে নানা ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালের এই দিনে(৭এপ্রিল) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে। তখন থেকেই দিনটি বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য ইস্যুকে সামনে রেখে দিবসটির আয়োজন করা হয়, যার উদ্দেশ্য বৈশ্বিকভাবে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি।