নারী সংবাদ
প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করল গুলশান সোসাইটি। গতকাল রবিবার এ উপলক্ষে নগরীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে প্রথম নারী জাতীয় অধ্যাপক ড. সুফিয়া আহমেদ এবং বাংলাদেশে পক্ষাঘাতগ্রস্ত পুনর্বাসন কেন্দ্র ‘সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজড’ (সিআরপি)-এর পরিকল্পক ও প্রতিষ্ঠাতা ভেলরি টেইলরকে আজীবন সম্মাননাসহ ১৫ নারীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হাইকোর্টের বিচারপতি কাশেফা হোসেন বলেন, দেশে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে আইন আছে, বাল্যবিয়ে রোধেও আইন আছে। তারপরও নারী নির্যাতন ও বাল্যবিয়ে বেড়ে চলছে। সমাজে ধর্ষণ ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। অবস্থা পরিবর্তনে আইনের পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধিতে পারিবারিক শিক্ষার উপর জোর দেন তিনি।
বিশেষ অতিথি দৈনিক ইত্তেফাক ও পাক্ষিক অনন্যা সম্পাদক তাসমিমা হোসেন বলেন, গণমাধ্যমে এবছর নারী দিবসে ব্যাপক প্রচারণা প্রমাণ করে নারীর অগ্রযাত্রা মানুষকে সচেতন করতে পারছে। মানুষ নারীর দক্ষতাকে স্বীকার করতে বাধ্য। নারীকে আজ আর কম বুদ্ধি, তারা পারে না বলা যাবে না। কারণ তারা সব ক্ষেত্রে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে। যদিও সমাজ ধর্মের দোহাই আর নানা রকম শব্দ ব্যবহারে জব্দ করে পেছনে টেনে রাখতে সচেষ্ট আছে।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সোসাইটির প্রথম নির্বাচিত নারী মহাসচিব শুক্লা সারওয়াত সিরাজ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সভাপতি সাখাওয়াত আবু খায়ের মোহাম্মদ। প্রথা ভেঙে সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখায় যে নারীরা সম্মাননা পান তারা হলেন, প্রথম নারী পাইলট (বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার) আলেয়া মান্নান, সিভিল সার্ভিস পুলিশের প্রথম নারী ক্যাডার ফাতেমা বেগম, কমনওয়েলথ স্বর্ণজয়ী ভারোত্তোলনকারী মাবিয়া আক্তার, তৃতীয় লিঙ্গ-এর অধিকারকর্মী জয়া সিকদার, প্রকাশক মাহরুখ মহিউদ্দিন, ছেলেদের ফুটবল কোচ মিরনা খাতুন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্রেইল বই করা প্রতিষ্ঠান স্পর্শ-এর নাজিয়া জাবিন, প্রথম এভারেস্ট বিজয়ী নিশাত মজুমদার, নারী-পুরুষের জন্য অ্যাপসভিত্তিক বাইক চালক শাহনাজ আক্তার, ডিজিটাল নারী উদ্যোক্তা মলিহা মালেক কাদের, নিজের বাল্যবিবাহ প্রতিরোধকারী মিতালী বিশ্বাস, প্রকৌশলী আফশিন মোজ্জামেল। সম্মাননা প্রাপ্তদের সম্মাননা স্মারক ও উত্তরীয় প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী ড. নাশিদ কামাল ও তার মেয়ে আরমিন মুসা।
সুত্র: ইত্তেফাক রিপোর্ট।