banner

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 1947 বার পঠিত

 

বাসর রাতে স্বামী-স্ত্রীর নামাজ ও দোআ

দাম্পত্য জীবনের প্রথম রাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রত্যেক নব বিবাহিত দম্পতির উচিত বাসর রাতের গুরুত্বপূর্ণ সময়কে আনন্দ-উৎসবের নামে অবহেলা ও অনর্থক কাজে ব্যয় না করে নামাজ ও দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর নিকট কল্যাণ কামনা করা। মহান রাব্বুল আলামীন উম্মতে মুহাম্মদীকে বাসর রাতে উত্তম আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন।

মানব জীবনে বিয়ে অতি গুরুত্বপূর্ণ এক পর্ব। বিয়ের মধ্য দিয়ে একজন নারী ও পুরুষের মধ্যে গড়ে ওঠে গুরুত্বপূর্ণ এক সম্পর্ক। প্রাপ্তবয়স্ক সক্ষম ব্যক্তিদের ওপর মহান রাব্বুল আলামীন বিয়ে ফরজ করেছেন। বিয়ের পর্ব সমাপ্তির পর বাসর রাতে স্বামী-স্ত্রীর প্রথম সাক্ষাতে স্বামীর উচিত স্ত্রীকে নিয়ে জামাআতের সহিত দুই রাকাআত নফল নামাজ আদায় করা। এ নামাজ পড়া মুস্তাহাব। এটি উত্তম এক আমল। যে আমলে রহমত ও বরকত বৃদ্ধি পায়। নামাজের পর নব দম্পতি পরস্পরের জন্য দোয়া করবে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) এর বর্ণনায় দোয়াটি তুলে ধরা হলো-

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা বারিক লি ফি আহলি ওয়া বারিক লাহুম ফিইয়্যা, আল্লাহুম্মাজমা’ বাইনানা মা জামা’তা বিখাইরিন ওয়া ফাররিক্ব বাইনানা ইজা ফাররাক্বতা ইলা খাইরিন। (আদাবুজ যিফাফ, মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক)

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমার জন্য আমার পরিবারে বরকত দান কর এবং তাদের স্বার্থে আমার মাঝে বরকত দাও। হে আল্লাহ! তুমি যা ভালো একত্রিত করেছ তা আমাদের মাঝে একত্রিত কর। আর যখন কল্যাণের দিকে বিচ্ছেদ কর তখন আমাদের মাঝে বিচ্ছেদ কর’।

দাম্পত্য জীবনের প্রথম রাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রত্যেক নব বিবাহিত দম্পতির উচিত বাসর রাতের গুরুত্বপূর্ণ সময়কে আনন্দ-উৎসবের নামে অবহেলা ও অনর্থক কাজে ব্যয় না করে নামাজ ও দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর নিকট কল্যাণ কামনা করা। মহান রাব্বুল আলামীন উম্মতে মুহাম্মদীকে বাসর রাতে উত্তম আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন।

Facebook Comments