banner

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 202 বার পঠিত

বাচ্চাকে যে জিনিস গুলো অবশ্যই শেখাবেন

dev-bg-home-2
আমাদের পরিবারই হচ্ছে প্রতিটি বাচ্চার প্রথম স্কুল। বাবা-মায়ের কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষায় তার জীবনাচারণের মূল ভিত প্রতিষ্ঠা করে। তার আগত ভবিষ্যৎ নির্দিষ্ট হয় এখান থেকেই। সুশিক্ষিত সচেতন বাবা-মা পারেন তার সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যৎ রচনা করতে। এ জন্য তাদেরকে কিছু বিষয় অবশ্যই পালন করতে হবে তা হলো-

ভাষায় নম্রতা বজায় রাখা : বাচ্চার সঙ্গে সব সময় নম্রতা বজায় রেখে কথা বলা উচিৎ। এতে তার মনের ভিতরে গড়ে উঠবে বিনয় এবং ভদ্রতা। নিচু স্বরে কথা বলার অভ্যাস তাকে সবার কাছে করবে সমাদৃত। উগ্র মেজাজী হতে বাধা দিবে। শান্ত স্বভাবে করবে সব কিছুর সমাধান।

ছায়ার মতো পাশে থাকা : আপনি সব সময়ই সন্তানের পাশে থাকুন ছায়ার মতো। তাকে যেকোন অনাহূত ভবিষ্যতের হাত থেকে রক্ষা করতে একমাত্র আপনারই সচেতনতা দরকার। তাকে সাধ্যেরমধ্যে সবটুকু ভালোবাসা দিয়ে বড় করুন।তার খাবার, পোশাকসহ আনুসঙ্গিক কোন কিছুতেই কার্পণ্য নয়।এতে বাচ্চার মনেও জন্মাবে অপরের প্রতি মমতা আর ভালোবাসা।

সত্য বলা : মা-বাবার সব সময় সত্য বলার অভ্যাস থাকলে বাচ্চাও সত্য বলা শেখে। তাই ভুলেও কখনো বাচ্চার সামনে কোন লুকোচুরি বা মিথ্যার আশ্রয় নেয়া ঠিক নয়। কারন বয়সটাই তাদের অনুকরণের। যা দেখবে তাই শিখবে।

বিনোদনের সঙ্গে থাকা : সন্তানের হাঁসি নিশ্চিত করতে তার বিনোদনের ব্যবস্থা করুন। তার সঙ্গে খেলুন, কথা বলুন। সমবয়সীদের সঙ্গে খেলার সুযোগ পেলে বাচ্চার মধ্যে সামাজিকতা বোধ গড়ে উঠবে। সে আত্মকেন্দ্রিক হবে না। সবার সঙ্গে মিলেমিশে চলা শিখবে।

ধর্মীয় শিক্ষা : কোন মানুষই বন্ধনের উর্ধ্বে নন। ধর্ম তেমনি এক বন্ধন যা পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজনকে বেধে রাখে একই সুতোয়। তাছাড়া পৃথিবীর কোন ধর্মেই হিংসা, হানাহানি বা মানব বিদ্বেসের শিক্ষা দেয় না। তাই শিশু মনকে ছোট বেলা থেকেই একটি নৈতিকতার ছাঁচে গড়ে তুলতে ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প নেই।

Facebook Comments