banner

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 736 বার পঠিত

 

বাংলাদেশের গোল বন্যা পাকিস্তানের জালে

নারী সংবাদ


থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরুর আগেই উপস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিকেল থেকেই মাঠে বসে ছিলেন ভারতীয় বাংলাভাষী কুচবিহারের বাঙালিরা। প্রথম ম্যাচে ভারতকে সমর্থন করার পর তারাও বসেছিল বাংলাদেশের খেলা দেখতে। একই সাথে সমর্থন জানানোর জন্যও। তা বাংলা ভাষাভাষী এবং বাঙালি বলে। তা ছাড়া এ বাঙালিরা কাজ করেন বাংলাদেশ দলের হোটেলের পাশেই। সাথে ভুটানে বেড়াতে আসা বাংলাদেশী পর্যটকেরাও উপস্থিত মাঠে। এদের আকুণ্ঠ সমর্থনকে সম্মান দেখিয়ে বিশাল জয়ও তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ মহিলা দল। কাল আসরের ‘বি’ গ্রুপে পাকিস্তানকে ১৪-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নের মতোই শুরু করেছে শামছুন্নাহার, তহুরা, মনিকা, মারিয়ারা। হ্যাটট্রিকসহ চার গোল করেছেন জুনিয়র শামছুন্নাহার। লাল-সবুজদের আগ্রাসী ফুটবলের কাছে খড়কুটোর মতো উড়ে গেছে পাকিস্তান। এর মাধ্যমে সিনিয়র-জুনিয়র মিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন খেলাতেই জয়ের ধারাই অব্যহত রাখল বাংলাদেশ। মারিয়া-মনিকাদের পরের ম্যাচ ১৩ তারিখে নেপালের বিপক্ষে।
তিন বছর ফিফার নিষেধাজ্ঞা কাটিয়েছে পাকিস্তান। এ পরিস্থিতিতে পাকিস্তানিদের পক্ষে ভালো ফুটবল উপহার দেয়া সম্ভব নয়। কাল এর ব্যতিক্রম করা সম্ভব হয়নি দেশটির অনূর্ধ্ব-১৫ মেয়েদের পক্ষে। তাদের পাড়া মহল্লার দলে পরিণত করে বিশাল জয় তুলে নিয়েছে গোলাম রাব্বানী ছোটনের দলের। এ জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন ডিফেন্ডার ছোট শামছুন্নাহার। তার হ্যাটট্রিকে দারুণ জয়ে আসর শুরু বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। গোল আরো বেশি হতে পারত। কিন্তু আনু চিং মগিনি অতি মাত্রায় মিস করলে বাড়েনি গোলের সংখ্যা। তবে এ আসরে এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়। গত বছর উদ্বোধনী ম্যাচে নেপালকে ৬-০তে পরাজিত করেছিল তারা।
সাত মিনিটে তহুরা খাতুনের গোল দিয়ে লাল-সবুজদের উৎসব শুরু। ১৮ মিনিটে মনিকা চাকমার ফ্রি-কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ। ২১ মিনিটে তহুরা তার দ্বিতীয় গোল করেন চমৎকার ব্যাক হেডে। ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন ভাসিয়েছিলেন লবটি। ৩৩ মিনিটে নিজের প্রথম গোল করেন হ্যাটট্রিক করা ছোট শামছুন্নাহার। বিরতির পর ৫০ ও ৫৪ মিনিটে আরো দুইবার বল জালে পাঠিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি। ৫৭ মিনিটে করেন নিজের চতুর্থ গোল। এর আগে ৪১ মিনিটে অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা এবং ৪২ মিনিটে আঁখি দূরপাল্লার শটে গোল করেন।
প্রথমার্ধে ৬-০ এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ দল বিরতির পর ৬০ মিনিটের মধ্যে আরো ছয়বার বল পাঠায় পাকিস্তানের জালে। ৫৮ মিনিটে সাজেদা নিজের দ্বিতীয় এবং ৬০ মিনিটে আনাই মগিনি গোল করেন। ৮৯ মিনিটে আনাই তার দ্বিতীয় গোল করেন। ৯০ মিনিটে শেষ গোল সিনিয়র শামসুন্নাহারের। সূত্র: নয়াদিগন্ত।

Facebook Comments