প্রতিনিধি, অপরাজিতাবিডি ডটকম
বগুড়া : বগুড়ায় এক মা তার দুই কন্যা সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর চলন্ত বাসের নিচে ঝাঁপে দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। তবে, তার মৃত্যু হয়নি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার দুই শিশু উপমা (৭) ও তাসনিম (৩)। এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে শহরের লতিফপুর কলোনী এলাকায়। রবিবার বেলা ৩টার পর এ নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, শহরের লতিফপুর কলোনী এলাকার জনৈক নুরুল ইসলামের বাসায় ভাড়া থাকতেন সিরাজগঞ্জের বাসিন্দা বগুড়া সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন।
তিনি প্রতিদিনের মতো রবিবার সকালে কর্মস্থলে যান। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তার স্ত্রী সালমা বেগম(৩৫) শহরের বনানী এলাকায় মহাসড়কে একটি যাত্রীবাহি বাসের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। স্থানীয় লোকজন সঙ্গে সঙ্গে তাকে রক্তাক্ত আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সেখানে সালমা বেগম তার সন্তানকে হত্যার কথা জানালে তার স্বামী ফরিদ উদ্দিনের কাছে খবর দেয়া হয়। তিনি দ্রুত বাসায় গিয়ে দরজা খুলে মেঝেতে দুই সন্তানের মৃতদেহ দেখতে পান এবং একটি চিরকুট উদ্ধার করেন।
থানার ওসির উদ্দেশ্যে চিরকুটে লেখা রয়েছে, ‘আমি একজন মানসিক রোগী আমার সন্তান এবং আমার মৃত্যুর জন্য আমার স্বামী দায়ী নয়। সব ধরনের যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে আমার দুই সন্তান নিয়ে আমি পৃথিবী থেকে চির বিদায় নিলাম।’
ফরিদ উদ্দিনের প্রতিবেশী জুবায়ের হাসান জানান, ‘দুই আড়াই বছর আগে ফরিদ উদ্দিন স্ত্রী ও ২ সন্তান নিয়ে ওই বাসায় ওঠেন। তার স্ত্রী মানসিক ভাবে অসুস্থ হওয়ায় কারো সাথে মিশতো না।’ কেউ কেউ জানান প্রথম শ্রেনীতে পড়ুয়া মেয়ে উপমার রেজাল্ট ভাল না হওয়ায় ভিষন মনোকষ্টে ভুগতো সালমা। মুলত এ মনোকষ্ট তার মানষিক রোগ আরও বাড়িয়ে দেয়। যারপরিণতিতেই এ মর্মান্তিক ঘটনা বলে প্রতিবেশীদের ধারণা। পুলিশ নিহত শিশুদের লাশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করেছে।
অপরাজিতাবিডিডটকম/আরআই/এ/৩মার্চ/২২৩৫ঘন্টা২০১৪