banner

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 2000 বার পঠিত

 

ফ্যাশনে ছোটরাও হোক অনন্যা…

দশ মাস দশ দিন বড় যত্নে মাতৃ গর্ভে পালন। মায়ের বড় আদরের ধন সে। কোনও অসুবিধা যাতে তার ছায়াও স্পর্শ করতে না পারে, তার জন্য সকলেই ব্যস্ত। ছোট্ট সোনাকে নিয়ে মাতোয়ারা বাড়ির সবাই। সদ্যজাত শিশুর চাই স্পেশাল কেয়ার। তাই আপনার ছোট্ট বেবির নিত্য প্রয়োজনের জন্য তৈরি করে ফেলুন নতুন ড্রেস। জেনে নিন, কী কী মজাদার জামাকাপড় নিজের হাতেই বানাতে পারেন। তাতে আপনার বেবিকে দেখাবে চমৎকার, আর আপনিও খুশি।

সে এতই ছোটো, কেনা জামাকাপড় তার গায়ে ফিট করে না। তাই নিজেই বানিয়ে ফেলুন ছোট পুচকিটার পোশাক। বাচ্চাদের জামার বিষয়ে খুবই সতর্ক থাকতে হয়, যাতে কোনওরকম ইনফেকশন না হয়। সুতি ছাড়া অন্য কোনও ম্যাটিরিয়াল ব্যবহার করবেন না। সহজ সরল ডিজাইন বেছে নিন। ফিতে বা বোতাম দেওয়া জামাকাপড়ই বেশি ভালো। তাতে খুলতে পরতে সুবিধা হবে।

ওয়ান পিস আউটফিট

এই ধরনের জামাকাপড় ছোট বাচ্চাদের জন্য একদম পারফেক্ট। বার বার ন্যাপি পালটাতে এই জামাকাপড়ে সব থেকে সুবিধে।

শার্ট

সামনে বোতাম দেওয়া সুন্দর শার্টে আপনার ছোট্ট বেবিকে দিব্য মানাবে। শার্টের উপর পছন্দমতো ডিজাইন করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখুন, কাপড় যাতে বেশি মোটা না হয়। হালকা সুতির কাপড় বাচ্চার ত্বকের জন্য ভালো।

প্যান্ট

বাচ্চার প্যান্ট তৈরি করুন পছন্দমতো। তবে কোমরে ইলাস্টিক ব্যবহার না করাই ভালো। তাতে বেবির নরম চামড়ায় আঘাত লাগতে পারে। বেশি টাইট করবেন না, তাতে খোলাতে পরাতে অসুবিধা হবে।

সোয়েটার

শীতে বাচ্চার জন্য বানিয়ে রাখতে পারেন রংবেরঙের সোয়েটার। তবে, সোয়েটার মাথা গলিয়ে পরালে বাচ্চারা খুব বিরক্ত বোধ হবে। কান্নাকাটি করতে থাকবে। তাই সোয়েটার বানানোর সময় অবশ্যই সামনের দিকে রাখুন।

টুপি

উল দিয়ে বানাতে পারেন টুপিও। তবে খেয়াল রাখবেন, ম্যাটিরিয়ালটি যাতে আরামদায়ক হয়।

মোজা

এত ছোট বাচ্চাকে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচাতে মোজা মাস্ট। পায়ের থেকে সামান্য বড় সাইজের মোজা বানিয়ে ফেলুন। যাতে ছোট্ট বেবিটার ছোট্ট পা দুটি যথেষ্ট জায়গা পায় নড়াচড়া করতে।

কাঁথা

সুতির কাপড়ে বানাতে পারেন রকমারি কাঁথা। ডিজাইন করতে পারেন পছন্দমতো। বাচ্চার নাম, ফুল বা টেডির ডিজাইনও করতে পারেন।

টুপি

আপনার বাচ্চাকে ফ্যাশনেবল লুকস্ দিতে তৈরি করতে পারেন মজাদার টুপি। ঘরে-বাইরে, দু-জায়গাতেই ব্যবহার করতে পারেন এই টুপি।

এক নজরে কয়েকটি সতর্কতা

সাবধানে তৈরি করতে হবে বাচ্চার জামাকাপড়। দেখবেন যাতে তা বেশি টাইট না হয়। বিশেষ করে গলায় যেন জামা শক্ত করে বসে না থাকে।  একটু ঢিলেঢালা জামায় বাচ্চা ফ্রিভাবে শ্বাস নিতে পারবে।

বোতাম, ফিতে বা অন্যান্য অ্যাক্সেসরিজ দেখে শুনে ব্যবহার করবেন। দেখে নিন, এগুলোর কারণে বাচ্চার যেন কোনও ক্ষতি না হয়।

Facebook Comments