নারী সংবাদ
ফেসবুকে আছমা নামে ১২ বছরের নির্যাতিত এক শিশুর ভিডিও পোস্ট করেন এক ব্যক্তি। ভিডিওতে শিশুটি কান্নাজড়িত কণ্ঠে তার ওপর গৃহকর্ত্রীর নির্যাতনের বর্ণনা দিচ্ছিল। অল্প সময়ের মধ্যেই ভিডিওটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ কর্মকর্তাদেরও নজরে আসে। এরপর দ্রুত অভিযান চালিয়ে রাজধানীর মধ্য বাসাবো থেকে শিশু আছমাকে উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে গ্রেফতার করা হয় গৃহকর্ত্রী সেলিনা আক্তার শিলাকে।
সংশ্নিষ্টরা জানান, মধ্য বাসাবোর ১৬৯/১ নম্বর বাসার তৃতীয় তলায় সেলিনা আক্তার শিলার বাসায় দেড় বছর ধরে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে আসছিল আছমা। বাসার সব কাজ করলেও প্রায় প্রতিদিনই তাকে মারধর করা হতো। বেধড়ক পেটানো হতো সামান্য ভুল-ভ্রান্তির কারণে। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বারান্দার গ্রিলের পাশে দাঁড়িয়ে আছে আছমা। সে বলছে, গৃহকর্ত্রী তার গলা টিপে ধরে গলা কেটে হত্যা করে বস্তায় ভরে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। শিলার স্বামী চাঁদপুর আদালতের ক্রিমিনাল ল’ইয়ার। আছমার বাড়ি ময়মনসিংহে বলে জানা গেছে।
সবুজবাগ থানার ওসি আবদুল কুদ্দুস ফকির সমকালকে বলেন, নির্যাতিত শিশুটিকে বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে। সেখানে শিশুটিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হবে। এ ঘটনায় শিশুটির ভাই রুহুল আমিন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। শুক্রবার সেই মামলায় গৃহকর্ত্রী শিলাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সুত্র : সমকাল।