শীতের বিদায়বার্তা বাজছে বাতাসে। বসন্ত এলো বলে! শীত ঠিকই চলে যাচ্ছে তবে আমাদের ত্বকে তার রুক্ষতার প্রভাব রেখে যাচ্ছে। ফাল্গুনে নিজেকে সাজাতে হলে চাই সুস্থ ও সতেজ ত্বক। আর তাই ত্বকের রুক্ষতা দূর করে লাবণ্যময় ত্বক পেতে আমাদের রয়েছে কিছু করণীয়। প্রতিদিন নিয়ম করে যত্ন নিলে সতেজ ত্বক পাবেন সহজেই।
গোসলের আগে লেমন টারমারিক ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। এই ক্রিম শুধু ত্বক নরম করে না, সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের কালোভাব, সানট্যানের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। সাবান ও ক্লোরিনযুক্ত পানি ব্যবহারের ফলে ত্বকের যা ক্ষতি হয়, তা থেকে ত্বককে রক্ষা করতেও এই ক্রিম সাহায্য করে। হলুদের অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান ত্বকে ইনফেকশন প্রতিরোধ করে।
মুলতানি মাটি, কাঁচা হলুদ ও জলপাইয়ের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে মুখে, হাতে ও পায়ে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললেও ত্বক সতেজ হবে।
তিলের তেল, গ্লিসারিন ও গোলাপজল সমপরিমাণে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক সুন্দর ও মসৃণ হয়।
সপ্তাহে একদিন মধু, গ্লিসারিন, লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে লাগাতে পারেন। এই মাস্ক পরিষ্কারের পাশাপাশি ময়েশ্চারাইজারের কাজ করবে।
ত্বকে কালো দাগ হলে দাগযুক্ত স্থানে লেবুর রস ও মধু লাগান। লেবুর রস ও মধু ত্বকের কালো দাগ দূর করে।হাত-পায়ে গ্লিসারিন বা লোশন ম্যাসাজ করলে ত্বকের ভিতরে রক্ত-সঞ্চালনে হয়, ফলে ত্বক সজীব হয়ে ওঠে।
যাদের হাতের চামড়া অত্যাধিক পরিমাণে রুক্ষ, তারা ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার না করে ময়েশ্চারাইজারযুক্ত সাবান ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
পানি ত্বকের ময়েশ্চারাইজ হিসেবে কাজ করে। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে ত্বকের ময়েশ্চারাইজ বজায় থাকবে।
এ সময় প্রচুর তাজা ফলমূল ও শাক-সবজি পাওয়া যায়, এসব খেলেও ত্বক ভালো থাকে।