banner

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 503 বার পঠিত

 

প্রতিদ্বন্দ্বী ইসরাইলি হওয়ায় সৌদি নারী অ্যাথলেটের নাম প্রত্যাহার!

ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে জাওয়াদ ফাহমি (Jude Fahmy) নামে এক সৌদি নারী ক্রীড়াবিদ রিও অলিম্পিক গেমস থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে জাওয়াদ ফাহমি (Jude Fahmy) নামে এক সৌদি নারী ক্রীড়াবিদ রিও অলিম্পিক গেমস থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

জুডো প্রতিযোগির দ্বিতীয় রাউন্ডের ওই ম্যাচে তার সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো ইসরাইলের প্রতিনিধি। তবে ইসরাইল ও সৌদির সংশ্লিষ্টদের দাবি, অন্য কারণে ফাহমি প্রতিযোগিতা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

ফাহমির এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আরব ও মুসলিম বিশ্বের সাধারণ জনগণ, বিশেষ করে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিনি ফুটবল ফেডারেশনের সদস্য আবদুস সালাম হানিয়া ফাহমির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, তার এ সিদ্ধান্ত নৈতিক অবস্থানের যথাযথ উপলব্ধি।

ইসরাইলের সংবাদ সংস্থার রিপোর্টে দাবি করা হয়, ফাহমি প্রথম রাউন্ডে মরিশাসের প্রতিযোগী ক্রিস্টাইন লেজেনটিলের বিরুদ্ধে জয়ী হলে পরবর্তী রাউন্ডে তাকে ইসরাইলি প্রতিযোগী গিলি কোহেনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। তাদের দাবি, ইসরাইলকে এড়াতেই ফাহমি ম্যাচ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

অন্যদিকে, ইসরাইলের এ দাবিকে নাকচ করে দিয়ে সৌদি অলিম্পিক ডেলিগেশন এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, প্রতিযোগিতা থেকে ফাহমির প্রত্যাহার ইনজুরির কারণে। অনুশীলন করার সময় ফাহমি আঘাত পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত। এখানে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই।

সৌদি মেডিক্যাল টিম ফাহমিকে খেলায় অংশগ্রহণ না করার পরামর্শ দিয়েছেন বলেও ওই টুইটে বলা হয়।

এদিকে সকল আরব ও মুসলিম ক্রীড়াবিদ ইসরাইলি খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রত্যাহারের বিষয়ে একমত হয়েছে। তারা মনে করছে, ইসরাইল একটি দখলদার রাষ্ট্র হওয়ায় এবং দেশটির খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলার অর্থ হচ্ছে ইসরাইলকে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দান।

Facebook Comments