banner

মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ ইং, ,

পোস্টটি 1510 বার পঠিত

 

প্যারেন্টিং এর মূলনীতি


কানিজ ফাতিমা


অনেকেই অভিযোগ করেন যে বাচ্চার পড়ার অভ্যাস নেই। দোষটা সবসময় বাচ্চার না, আসলে বাচ্চার পড়ার অভ্যাস তৈরীতে বাবা-মায়ের সক্রিয় ভূমিকা নিতে হয় এবং সেটা হতে হয় একেবারে ছোট বয়স থেকেই। ছয়মাস বয়স থেকেই বাচ্চাকে (অনেকের মতে আরো আগে থেকে) বইয়ের প্রতি আগ্রহী করে তুলুন। বাচ্চাকে কোলে নিয়ে আপনি বই পড়ুন। মনে করছেন এতো ছোট বয়সে বাচ্চা বইয়ের কি বুঝবে? এটাই বাচ্চার সঙ্গে বইয়ের সম্পর্ক তৈরীর সময়। বাচ্চাকে বইয়ের রঙ্গীন ছবি দেখান; বাচ্চা কিছুটা বড় হলে তাকে বইয়ের গল্প পড়ে শোনান; ঘুমানোর আগে বাচ্চার সঙ্গে শুয়ে বই পড়ুন। বইয়ের সাথে এই অল্প বয়সে যে সম্পর্ক তৈরী হয় সেটা সারা জীবন তার থেকে যায়।

অন্যদিকে বাচ্চা ছোট বয়সে যদি বাড়ীতে বই না দেখে, বাবা-মাকে বই পড়তে না দেখে তবে এটা আশা করা যায় না যে সেই বাচ্চা বইকে ভালোবাসতে শিখবে। এর বিপরীতে বাচ্চা ছোট থেকেই যদি বইয়ের চেয়ে ভিডিও (কার্টুন, ভিডিও গেম) বেশী দেখে, বাবা- মাকে টিভি, বা অন্য স্ক্রিনে মগ্ন দেখে, তবে বাচ্চা বইয়ের প্রতি কখনোই আকর্ষণ বোধ করবে না এবং খুব সম্ভাবনা থাকবে বাচ্চার অস্থির প্রকৃতির হবে ।

শুধু স্কুলের কারিকুলামের বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে অন্যান্য উপকারী বই বাচ্চাকে নিয়ে পড়বেন। বাসায় বাচ্চার জন্য ও নিজেদের জন্য ছোট করে হলেও লাইব্রেরী রাখুন । মনে করছেন, অনেক জায়গা লাগবে? একটা আলমারী এমনকি আপনার ড্রেসিং টেবিলের এক পাশকেও ব্যবহার করতে পারেন লাইব্রেরী হিসাবে।

– প্যারেন্টিং এর মূলনীতি

Facebook Comments