গরমে অনেক সময় এমন অবস্থা হয় যখন আপনার প্রচণ্ড পেটে ব্যথা হয় তখন কিছু খেতেও ইচ্ছা করেনা। ইলেক্ট্রোলাইটের ব্যালেন্স যখন ক্ষতিগ্রস্থ হয় তখন পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়। ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করতে এবং পেটের সমস্যার উপসর্গগুলোকে কমাতে সাহায্য করে এমন কয়েকটি পানীয়ের কথা জেনে নেই আসুন।
১। চিনি ও লবণ পানি
অতি প্রাচীন কাল থেকেই আমাদের দাদী নানীরা এই পানীয়টি ব্যবহার করে আসছেন। চিনি ও লবণ মেশানো পানি পান করলে শুধু শরীরের তরলের ভারসাম্যই বজায় রাখতেই সাহায্য করেনা বরং তা ডায়রিয়ার ফলে সৃষ্ট দুর্বলতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য এনার্জি সরবরাহ করে।
২। ঘোল
তাজা দই ও একচিমটি লবণ দিয়ে তৈরি করা ঘোল পান করলে যে শিথিলতা পাওয়া যায় তা আর অন্য কিছুতে পাওয়া যায়না। এই পানীয়টি যে শুধু পাকস্থলীতে শীতল অনুভূতি প্রদান করে তাই নয়। এটি পাকস্থলীর এসিড প্রতিরোধ করে এবং অন্ত্রের কাজের উন্নতি ঘটায়। কারণ এটি প্রকৃতিগত ভাবে একটি প্রোবায়োটিক।
৩। ডাবের পানি
স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টি সমৃদ্ধ ডাবের পানি পান করা ডায়রিয়া ও ডিহাইড্রেশনের জন্য অনেক উপকারি। এই পানীয়টি শুধুমাত্র হারিয়ে যাওয়া ইলেক্ট্রোলাইট ও মিনারেলের ক্ষতিপূরণই করেনা, বরং পাকস্থলীর pH কমিয়ে পরিপাক নালীকে শান্ত করে।
৪। শিকাঞ্জি
মশলাযুক্ত লেবু পানিকে শিকাঞ্জি বলে। শিকাঞ্জিতে থাকে বিট লবণ, চিনি, লেবুর রস, পানি, জিরা, গোলমরিচ ও আদা। এতে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান থাকে যা পেটের সমস্যার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে। পানি ও ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করে। ফলে পানিশূন্যতা প্রতিরোধ হয়।
৫। মেন্থল ও ক্যামোমিল চা
পেটের ব্যথা কমতে সাহায্য করে মেন্থল ও ক্যামোমিল চা। এরা উভয়েই পাকস্থলীর এসিডকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে এবং বমি বমি ভাব ও বুক জ্বালাপোড়া করা কমায়। মেন্থল বা ক্যামোমিল চায়ের সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিলে মিষ্টতার পাশাপাশি পেটের সমস্যার নিষ্পত্তিতেও সাহায্য করবে।
৬। আদা চা
পেটের সমস্যা দূর করতে আদা অত্যন্ত চমৎকারভাবে কাজ করে। সকালে আদা চা খাওয়া ভালো। দুই কাপ পানি ফুটিয়ে এর মাঝে আদার ২টি টুকরা দিয়ে অল্প আঁচে ২০ মিনিট রাখুন। তারপর আদাটুকু ছেঁকে নিয়ে এর সাথে মধু মিশান। পেটের ব্যথা ১মিনিটেই উধাও হবে। আদা চায়ের মত পুদিনার চা ও পেটের ব্যথা প্রশমিত করতে পারে।
পানিশূন্যতা দূর করার জন্য প্রথমেই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। পানিশূন্যতার কারণেও শরীরে ব্যথা বেদনা ও অস্বস্তি হতে পারে। যখনই আপনি শরীরকে জলপূর্ণ করতে পারবেন তখনই দেখবেন সমস্ত অস্বস্তি দূর হয়ে গেছে। এছাড়াও সুপ খেতে পারেন। সুপে ভিটামিন ও মিনারেল থাকে যা ডিহাইড্রেশনের পড়ে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়।
লিখেছেন-
সাবেরা খাতুন